নিউজ ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসা ছাত্র আবির হুসাইনকে বলাৎকারের পর হত্যা করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়া মাথা অবশেষে উদ্ধার হয়েছে। হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুর থেকে তার মাথা উদ্ধার করে খুলনার একটি ডুবুরী দল। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কলিমুল্লাহ।
গত মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবির হুসাইন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়। পরদিন সকালে মাদ্রাসার অদূরে একটি আম বাগানের ভিতর থেকে তার মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পরই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হত্যাকান্ডের পর পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা থেকে র্যাবের একটি ডগস্কোয়াডের স্পেশাল দল এসে বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়েও নিহত মাদ্রাসা ছাত্রর মাথা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও খুলনার ডুবুরী দল অভিযান শুরু করে। অতঃপর মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুর থেকে এক পর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে উদ্ধার হয় আবির হুসাইনের মাথা।
এদিকে এ হত্যাকান্ডের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে মাদ্রাসার ৫ শিক্ষককে। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে খুব কৌশলে হত্যা করা হয়েছে ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে। এ ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অর্থাৎ গলাকাটা গুজব তৈরি করার জন্য শরীর থেকে মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করে গুম করা হয়।