নীড় পাতা / জাতীয় / চা শ্রমিকদের মধ্যে আশার আলো

চা শ্রমিকদের মধ্যে আশার আলো

নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক উদ্যোগের সংবাদেই বদলে গেছে দৃশ্যপট। মিছিল, বিক্ষোভ কিংবা রাজপথ অবরোধ, গতকাল কোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেননি চা শ্রমিকরা। তবুও তাদের সময় যেন কাটছেই না। তারা তাকিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। আজ শনিবার বৈঠকে জননেত্রী শেখ হাসিনা চা বাগান মালিকদের মজুরি বৃদ্ধির নির্দেশ দেবেন বলে আশা করছেন শ্রমিকরা।

জানা গেছে, দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ ১৮ দিন বাগানের কাজে যোগ না দিয়ে, খেয়ে না খেয়ে কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকদের মাঝে আশার আলো ফুটিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ঘোষণা।

advertisement

শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের শ্রমিক বাবুল হাজরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মজুরি পাচ্ছি না। ঘরে খাবার নেই। কাঁচা চাপাতা এখন ভরসা। এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। ঋণের বোঝা বাড়ছে।

চা বাগানের নারী শ্রমিক মিনা হাজরা বলেন, আজ আমরা আশার আলো দেখছি। আমাদের মা প্রধানমন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। আমরা এখন তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা ন্যাজ্য মজুরি নিয়ে কাজে নামতে চাই। ভাড়াউড়া বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মিয়া বলেন, কাজ না থাকায় বাগানের শ্রমিকদের ঘরে বাসা বেঁধেছে অভাব। এখন শ্রমিকদের আহারের ভরসা এনজিও কিংবা দোকানের বাকি। এই অভাব আর ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছেন তারা।

চা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী বলেন, চা জনগোষ্ঠী তাদের যৌক্তিক দাবিতে একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সংগ্রামী চা শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে তাদের মজুরি এবং রেশন বন্ধ হয়ে আছে।

বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নিরসনে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন শনিবার বিকাল ৪টা থেকে।

গত ৯ আগস্ট থেকে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকার করার দাবিতে কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন চা শ্রমিকরা। ১৩ আগস্ট থেকে তারা চা বাগানে পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দেন। এতে ভরা মৌসুমে ব্যাপক লোকসানে পড়ে দেশের চা শিল্প। বাগান মালিকরা এ মজুরি মেনে নিতে অনাগ্রহ দেখানোয় সংকট আরও ঘনীভূত হয়। এ অবস্থায় শ্রম অধিদপ্তরের উদ্যোগ বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের দিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করা হলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা নেতাদের দালাল আখ্যা দিয়ে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল শুক্রবার চা শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিলেও কোনো কর্মসূচি ছিল না তাদের। প্রধানমন্ত্রী চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে শান্তভাব দেখা গেছে। হতাশ ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিলেই কাজে ফিরে যাবেন তারা।

সিলেটের ২৩টি চা বাগানের শ্রমিক পঞ্চায়েত প্রতিনিধি শুক্রবার বিকালে মালনিছড়া চা বাগানের ম-পে সভায় বসেন। সেখান থেকে নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন, এ জন্য তারা আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক পর্যন্ত কর্মবিরতির সঙ্গে বাগানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। তবে সিদ্ধান্ত না এলে আবারও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবেন।

আরও দেখুন

প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তরুনীকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে রুবেল নামের প্রেমিক ও তার দুই …