নীড় পাতা / উত্তরবঙ্গ / চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালোর রঙ্গের নতুন জাতের বাদল ধানের আবাদ করছে কৃষক মানিক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কালোর রঙ্গের নতুন জাতের বাদল ধানের আবাদ করছে কৃষক মানিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে কালোর রঙ্গের সুগন্ধি ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল। অধিক পুষ্টি সম্পূর্ণ ও বাজার দর ভাল হওয়ায় এ ধানের আবাদ করেন কৃষক মানিক। কৃষি বিভাগ এই ধানের বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করে আগামীতে আরো সম্প্রসারণ করা কথা জানান।

সবুজের মাঝে কালোর রঙ্গের সুগন্ধি ধানের আবাদ শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের মানিক। পরীক্ষামূলকভাবে পৌনে দুই বিঘা জমিতে এই ধানের আবাদ শুরু করেন। ভারতের কৃষ্ণভোগ ধানের বীজ হলেও মানিক তার একজন কৃষকের নামে এ ধানের নাম রাখেন বাদল ধান। নতুন জাতের এই ধানের নাম বাদল স্বীকৃতিও চান। অন্য আতপ জাতের ধান বিঘা প্রতি ৭-৮ মণ হলেও এই সুগন্ধি ধান প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ অধিক পুষ্টি সম্পূর্ণ লম্বা জাতের ধান উৎপাদন হবে। এই ধানের ফলনও হয়েছে ভাল। সুগন্ধি আতপ চালের চাহিদা পূরণ আর কম খরচে বেশি দামে আশায় কালো রঙ্গের বাদল ধানের আবাদ করেন তিনি। এ ধানের ধানের বীজ আগামীতে দিতেও পারবেন তিনি। 

নতুন জাতের ধান উৎপাদনকারী কৃষক মানিক জানান, এধানটি লাগানোর পিছনে কারণে আছে। সেটি হচ্ছে অন্যান্যে ধানের বৈচিত্র আছে কিন্তু আতব ধানের চালে কোন বৈচিত্র কম থাকায় এই কালো রঙ্গের সুগন্ধি জাতের ধান চাষ শুরু করি। নতুন জাতের কালো রঙ্গের বাদল জাতের ধানের বীজ নেয়ার কথা বলে রেখেছেন অন্য কৃষকরা।
তিনি আরো জানান, ধানে চাষে কম মুনাফায় কৃষি বিভাগ ও ব্যাংকগুলো ঋণ দেন তাহলে আরো বেশি করে ধান চাষে এগিয়ে আসছে কৃষকরা।  আর ঋণ না পাওয়ায় অনেকেই কৃষি কাজ থেকে বিমুখ হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

আর যার নামে ধানের নাম রাখে হয়েছে সেই বাদল জানান, ভারতীয় জাতের ধান হলেও সুগন্ধি জাতের কালো রঙ্গের ধানের নাম বাদল হওয়ায় আনন্দীত আমি। আমার নামে ধানের নাম হবে এটা কখনোই ভাবিনি। এ ধানের নামের স্বীকৃতি দিলে ভাল হবে। আর সার-কীটনাশক পানি কম লাগায় এবং পোকা-মাড়ক কম লাগায় আগামী বছর এ জাতের ধান আগানো আগ্রহ দেখান অনেক কৃষক জানান বাদল।

কৃষক আজিজুল, বাসির ও হারুন জানান, আমাদের জমি পাশে কৃষক মানিক নতুন জাতের কালোর রঙ্গের ধান আবাদ করেছে সে ধানের নাম নাকি বাদল। তবে ধানের গায়ের রং কালো, লম্বা ও বড় আকারের ধান। এধানের ভাল ফলনও হবে। তাই আমরা আগামীতে এই ধানের আবাদ করবো। আর কম খরচে বেশি লাভও হবে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম জানান, মানিক নিজ উদ্যোগে এই নতুন জাতের কালো রঙ্গের ধান আবাদ করেছে। ওই কৃষক নিজেই সে ধানের নাম বাদল রাখেন। এই ধানের বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তারা যদি এ ধান জেলার জন্য উপযোগী ও ভাল মনে করে তাহলে আগামীতে আরো সম্প্রসারণ করা কথা জানান এই কর্মকর্তা। আগামীতে এধানের বীজ অন্য কৃষকের মাঝে সম্প্রসারণ করা হবে।

এ জেলায় প্রতি বছর কোন না কোন নতুন জাতের ধানের বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে।

আরও দেখুন

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে বিক্ষোভ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের চলমান মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ীকরণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার এবং সরকার …