নীড় পাতা / Uncategorized / চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভুক্ত কুকুরগুলোর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে অনেকেই

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভুক্ত কুকুরগুলোর মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে অনেকেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
করোনা ভাইরাসের কারণে সব মানুষই এখন ঘরবন্দি জীবনযাপন করছেন। সেই সঙ্গে শহরের প্রতিটি হোটেল রেস্তোরা বন্ধ। সাধারণ মানুষের চলাচলও নিষিদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে শহরের বেওয়ারিশ কুকুরগুলো পড়েছে মারাত্মক খাদ্য সঙ্কটে। তাদের পেটে খাবার নেই। কারো কাছে চেয়ে কিছু নেয়ারও ক্ষমতা নেই তাদের। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খাবারের অভাবে ভুগছে কুকুরগুলো।
ঠিক এ সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্নস্থানের এ সব প্রাণীদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন রাতের আধারে।

মানুষ যেখানে খাদ্য সংকটে সেখানে এসব প্রাণীকে কে আর খাবার দিবে। মানুষের পাশেতো অনেককেই দেখা যায় খাদ্যসামগ্রী দিতে। কিন্তু এদের তো কেউ দেয় না। না খেয়ে থাকতে হচ্ছে তাদেরকে। তাদের কথা বিবেচনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিছু প্রাণী প্রেমিক অভুক্ত এ কুকুরগুলোকে খাদ্য সরবরাহ করছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদি, সাংগঠনিক সম্পাদক লাকি, রবি সিবলি মিলে নিজেদের উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৗর এলাকার বাতেন খাঁর মোড়, সেবা ক্লিনিক, বিশ্বরোড মোড়, হাসপাতাল এলাকাসহ বেশ কয়েক জায়গার কুকুরগুলোকে খাবার দিচ্ছে। আর এর কাজ করতে পেড়ে নিজেদের কিছুটা হলেও ভাল লাগছে বললেন তারা। তারা বলেন, মানুষ যেকোন ভাবে খাবার খেতে পাচ্ছে কিন্তু এধরনের বোবা প্রাণীগুলো খাবারের কারণে অনেকেই দুর্বল হয়ে মারা যাচ্ছে। সেকথা বিবেচনা করেই আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করি।


এদিকে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের, হঠাৎপাড়া এলাকায় এমন বেওয়ারিশ বেশ কিছু কুকুরের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসা. হালিমা বেগম। তিনি জানান, রাতের বেলায় রাস্তা দিয়ে আসার সময় দেখতে পায় অনেকগুলো কুকুর আমাকে দেখে খাবারের জন্য ঘিরে ফেলে। তাদের দেখে সেসময় কিছু পাউরুটি দিয়ে আসি। আর সেখান থেকে এসে নিজেকে প্রশ্ন করলাম যে আমরা খেতে পাচ্ছে কিন্তু তাদের খাবার কে দিবে। সেকথা বিবেচনা করেই প্রতিদিন ক্ষুধার্থ কুকুরগুলোকে ১ কেজি চাল ও ডাল দিয়ে তৈরি খিঁচুড়ি বাসিয়ে তাদের খাওয়ানো হয়। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে তার ছেলে।


অপরদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুল বাবি, আমলগীর হোসেনসহ এলাকার বেশ কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবক নিজনিজ এলাকায় অভুক্ত বোবা এসব প্রাণীদের খাবার খাওয়াছেন। তাদের ফেসবুক ওয়াল থেকে জানা গেছে। আরেক গণমাধ্যম কর্মী কপোত নবী জানান, আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৫নং ওয়ার্ডের ভেলুর মোড়ের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই কুকুর আমি ভালবাসি। বর্তমানে আমার এলাকাতে ৪/৫টি কুকুরকে প্রতিদিন বাড়ি থেকে ১২ মাসি খাবার খাওয়ায়। ওরা আমার বন্ধুরমত।
তিনি আরো জানান, আমি অনুরোধ করবো আপনার এলাকার বা আপনাদের বাসার সামনে থাকা কুকুরটির মুখে বাসার পরিত্যক্ত খাবারগুলো তুলে দিন। কারণ বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর কারণে আমাদের সমাজে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। তাই তাদের প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখা উচিত।

আরও দেখুন

বাগাতিপাড়ায় প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় প্রার্থীরা, উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের বাগাতিপাড়া নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা জমে উঠছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। আগামী ২১ মে …