নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / গুরুদাসপুর / কৌশলে কোটি টাকার ট্রলার ছিনতাই গুরুদাসপুরে ধরা, আটক ১

কৌশলে কোটি টাকার ট্রলার ছিনতাই গুরুদাসপুরে ধরা, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক, গুরুদাসপুর:

কোটি টাকা মুল্যের ছিনতাই হওয়া একটি বালিবাহী ট্রলারসহ এক মাঝিকে আটক করেছে গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ। বুধবার রাতে নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর রাবার ড্যাম এলাকা থেকে ট্রলারসহ আব্দুল মালেক (৪৭) নামের এক মাঝিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মাঝি সিংড়া উপজেলার বলিয়াবাড়ি গ্রামের আমানত বেপারীর ছেলে। এব্যাপারে ট্রলারের মালিক আবদুস সালাম দেশের বাহিরে থাাকায় বাইতুর রশিদ নামের ওই ট্রলারের মুল চালক পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার রহমতপুর গ্রামের জব্বার খানের ছেলে মোঃ হাসান(১৩) বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে গুরুদাসপুর থানায় ওই আসামীসহ অজ্ঞাত কয়েক জনের বিরুদ্ধে একটি ছিন্তাই মামলা দায়ের করেছেন। পরে দুপুর ১টার দিকে আসামী আব্দুল মালেক বেপারীকে নাটোর কোর্টে চালান করা হয়। গুরুদাসপুর থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, আসামী আব্দুল মালেক তার সহযোগিদের মাধ্যমে পাবনার বেড়া উপজেলার যমুনা নদী থেকে সুকৌশলে ওই ট্রলারের চার পাঁচ জন কর্মচারীদের বালু ব্যাবসার কথা বলে গুরুদাসপুরে নিয়ে আসে। অতপর উপজেলার মশিন্দা বাজারে তাদের কৌশলে নামিয়ে দিয়ে ট্রলারটি নিয়ে সিংড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। কিন্তু বিপত্তি বাধে গুরুদাসপুর রাবার ড্যাম ব্রিজের সাথে বিশাল ওই ট্রলারটি আটকে যায়। এসময় ওই ব্রিজ থেকে ট্রলারটি ছাড়াতে গিয়ে ব্রিজের গার্ডার ওয়াল ভেঙ্গে রড বের হয়ে যায়। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাঝি মাল্লাসহ তাদেরকে আটক রেখে গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় তাৎক্ষকি থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রকৌশলী মিলন মিয়কে সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ট্রলার ছিন্তাইয়ে রহস্য বের হয়ে আসে। আব্দুল মালেকের ছোট ভাই আব্দুল জব্বার (৪০) এই প্রতিবেদককে বলেন, ওই ট্রলারের মালিক আব্দুস সালামের সাথে তার ব্যবসায়ীক লেনদেন ছিলো। তিনি ওই ট্রলারের মােিকর কাছে ১৬লাখ টাকা পাবেন । ওই টাকা না দেওয়ায় ট্রলারটি তার কাছে রাখতে চেয়েছিলো বলে দাবী করেন। তবে সে টাকা পাওনার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আসামী আব্দুল মালেক বলেন, মুলত আমার ছোট ভাই আব্দুল জব্বার ট্রলারের মালিক আব্দুস সালামের সাথে ব্যবসা করতো কিন্তু ওই মালিককে না জানিয়ে ট্রলারটি নিয়ে আসা হয়। ধরা পরার পরে সবাই আমাকে একা রেখে পালিয়ে গেছে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, সরকারী গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। ট্রলারের মালিকের নিকট থেকে ক্ষতি পুরণ নেওয়া হবে অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। গুরুদাসপুর থানার এস আই মোঃ মাসুদ রানা বলেন, আসামী আব্দুল মালেক ট্রলার ছিন্তাইয়ে কথা স্বীকার করেছে। তার সংযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আসামী আব্দুল মালেককে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। ট্রলারটি থানা হেফাজতে রয়েছে।

আরও দেখুন

নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক পূর্ব শত্রুতার জেরে নাটোরে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। …