নীড় পাতা / জাতীয় / কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে মারলো বিএনপি নেতা!

কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে মারলো বিএনপি নেতা!

নিউজ ডেস্ক: নিয়ামতপুর বিএনপির কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএনপির আরেক নেতা। এ নিয়ে বিব্রত অবস্থা পড়ে আছে জেলার নেতৃবৃন্দ।

জানা গেছে, রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খড়িবাড়ি বাজার সেডে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছিল। সেখানে বিএনপি নেতা ডা. সালেক চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান কর্মী-সমর্থরা উপস্থিত ছিলো। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় ইউপি মেম্বার ওয়াহেদ আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নেয়।

অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে ওয়াহেদ আলীকে অনত্র নিতে বলা হয়। এরপর রাতেই রাজশাহী পপুলারে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

ওই ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার ওয়াজেদ আলী বলেন, ওইদিন বিকালে আমরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলাম। এ সময় ডা. সালেক চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মেম্বার ওয়াহেদ আলীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে আশঙ্কাজনকভাবে উদ্ধার করে রাজশাহী নেয়া হয়।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে থানা বিএনপির বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এর পর উভয়পক্ষই বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য আলোচনার ডাক দেন।

তিনি বলেন, ওখানে আলোচনা হলে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এ জন্য আমি সেখানে রাজশাহী বিভাগীয় সম্মেলন সফল করতে একটা আলোচনা সভা করার জন্য থানায় একটা আবেদন করি, যেন তারা সেখানে আলোচনা করতে না পারে এবং কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়। কিন্তু তারপর উভয়পক্ষের সমর্থকরা সেখানে আসতে থাকেন। ডা. সালেক চৌধুরীর সমর্থকদের বুঝিয়ে বিদায় করতে পারলেও মোস্তাফিজুরের সমর্থকরা সেখানে থেকে যান। কিছুক্ষণ পর ডা. সালেক চৌধুরীর সমর্থকরা এসে হামলা করেন।

এ বিষয়ে ডা. সালেক চৌধুরী বলেন, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে বিভাগীয় সম্মেলন হওয়ার কথা। এর আগে জেলার কোথাও কোনো ধরনের আলোচনা সভা হওয়ার কথা না। কিন্তু তারপরও খড়িবাড়িতে আলোচনা সভা হয়েছে যা আমার জানা ছিল না। ওই সময় আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখছিলাম। পরে শুনলাম মোস্তাফিজুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থেকে শতাধিক গুণ্ডা ভাড়া করে নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। আমারও দুইজন কর্মীর অবস্থা খারাপ। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

থানা বিএনপির আহ্বায়ক ইছাহাক আলী বলেন, ডা. সালেক চৌধুরী কোনোভাবেই এ আহ্বায়ক কমিটিকে মেনে নিতে পারছিলেন না। তিনি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তৎপর ছিলেন। এ কারণে তার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন।

এতে পুরো নিয়ামতপুর বিএনপিতে চলছে আতঙ্ক। এ ঘটনা ঘটার পর দুই গ্রুপের কর্মীরাই গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও দেখুন

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার

নিউজ ডেস্ক: বান্দরবানে হামলা ও ব্যাংক লুটকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি …