পোস্ট অফিস
কালের বিবর্তনে সেই রাস্তায় আর যাওয়া হয় না,
যে রাস্তা ছেলেবেলায় দেখেছি,
মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল।
সেই রাস্তায় আজ ধুলো,বালির পদচারণায়?
প্রবেশ করা নিষিদ্ধ প্রায় ।
স্বপ্নবাজ মানুষের মতো স্বপ্ন দেখেছি শুধু ,
একদিন তুমি তোমার নিজস্ব ঠিকানায় চিঠি লিখবে ,
তোমার চিঠির উছিলায় পোস্ট অফিসের চৌকাঠ ডিঙাবো,
কৈ তোমার চিঠি আজও নিজস্ব ঠিকানায় পৌঁছায় না।
হয়তো তোমার নিজস্ব ঠিকানা পাল্টে গেছে ,
-কি বল?
না তোমার নিজস্ব ঠিকানা পাল্টে নি ,
সেই চিরচেনা পোস্ট অফিস রয়ে গেছে নিজস্ব ঠিকানা হয়ে।
শুধু তোমার নিজস্ব ব্যাক্তিগত মানুষ পাল্টে গেছে।
তাই আমার দিবা-স্বপ্ন রয়েছে অতল গহিনে।
কিন্তু হ্যাঁ,
পোস্ট অফিসের চৌকাঠ ডিঙানোর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে অনেকের।
সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও পোস্ট অফিসে যেতে হয়,
পরিবারের বেকার সন্তানটার কথা ভেবে ,
সেই বৃদ্ধ পিতার মুখের দিকে তাকালে ,
চিত্ত কাঁদে ব্যাকুল সুরে।
একঝাঁক পাখির ন্যায় যুবকের দল,
রোজ চাকুরী নামের এক মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সাথে লড়াই করছে।
ধুলোবালিছাই উড়া রাস্তার পাশেদিয়ে গেলে,
আজ শুধুই দেখতে হয় ,
অজস্র বৃদ্ধ পিতার অশ্রুসিক্ত চোখ।
কখন আসবে সেই সোনার হরিণ ।
শুধু চাকরির চিঠির অধীর অপেক্ষায় বসে আছে একদল যুবক।
প্রশ্নঃ শুধু একটাই আমাদের তথা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কী অপেক্ষা করছে?
ভাবলেই কান্না পায়।
তবুও পোস্ট অফিস থাকুক সবার অন্তরে।