নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈশ্বরদী:
ঈশ্বরদীতে শনিবার যমজ দুই বোন সাদিয়া খানম ও নাদিয়া খানমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে যমজ দুই ভাই সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদের। ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। কয়েক শ অতিথির সম্মুখে প্রত্যেকের সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহরে তাদের বিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় দুই কনের গায়েহলুদ ও মুখ মিষ্টির আয়োজন। বিয়ে দিনগুলোকে প্রাণবন্ত করতে ওই রাতে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। তাদের বিয়ে দেখতে বিয়ে বাড়িতে ব্যাপক উৎসুক জনতার ঢল নামে। আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও শুধু তাঁদের দেখতেই দলে দলে আসেন এলাকার মানুষ। এটি এলাকায় স্মরণকালের একটি ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে, কালের সাক্ষী হয়ে থাকবেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
বররা হলেন, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর সেকেন্দার আলী মন্ডলের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ। কনেরা হলেন, ঈশ্বরদী কাপড় ব্যবসায়ী কুদ্দুস খানের মেয়ে সাদিয়া ও নাদিয়া। সেলিম ও সুলতান বেসরকারি কম্পানিতে কর্মরত এবং সাদিয়া ও নাদিয়া একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছে ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটাও তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তারা অনেক খুশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপক জমকালোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যমজ বিয়ের খবর শুনে কৌতুহলী মানুষের ঢল নামে। এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।
কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তার কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ দুই বোনকে দেখে তার ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজ-খবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।
বরের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই তারা খুশির সঙ্গে তা গ্রহণ করেন। প্রথম ছেলের মা শুনেই রাজি হয়ে যায়। ছেলেদের জানালে তারাও সম্মতি দেন। এরপরই বর ও কনে উভয় পক্ষ আলোচনা করে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
