বৃহস্পতিবার , অক্টোবর ১০ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / লালপুরে বন্যায় ফসলের ক্ষতি কৃষকেরা দিশেহারা

লালপুরে বন্যায় ফসলের ক্ষতি কৃষকেরা দিশেহারা

নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর :
ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ার কারণে নাটোরের লালপুর পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । এতে এই অঞ্চলের কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে । চরাঞ্চল ও পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাড়ী-ঘর প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের শিশু ও বয়সক মানুষ পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।
জানা যায়, ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ার কারণে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার লালপুর সদর, ঈশ্বরদী,বিলমাড়ীয়া ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৮ টি গ্রামের চরাঞ্চল ও পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে । এতে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ হেক্টর জমির আখের ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে । এছাড়া চরাঞ্চলের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । এতে এই অঞ্চলের কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে । প্রতিনিয়ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চল সহ নদীর তীরবর্তী এলাকার বাড়ী-ঘর প্লাবিত হচ্ছে ,অনেক পরিবার তাদের সদস্যদের ও গবাদি পশু নিয়ে বাড়ী-ঘর ছেড়ে অতœীয়-স্বজনের বাড়ীতে উঠচ্ছে । আবার কেউবা উঁচু অঞ্চলে এসে পরিবারের সদস্যদের ও গবাদি পশু নিয়ে তামবু করে ঠাঁই নিচ্ছে । এছাড়া এসব অঞ্চলের শিশু ও বয়সক মানুষেরা পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা ন্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আর,এম,ও) ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন. যেসব বাড়ী – ঘরে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে । সে সব পরিবারে শিশু সহ বয়সক মানুষ ডায়রিয়া ও চর্ম রোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে । এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন , বন্যায় পদ্মা নদীর চরাঞ্চল সহ নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ১০৪০ হেক্টর আখের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে । এছাড়া শীতকালীন সবজি প্রায় ৭০ হেক্টর, মাশ কলাই প্রায় ২০ হেক্টর ও এক আনি প্রায় ১ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে ।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যূতি বলেন, বন্যায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে । এতে উপজেলার লালপুর,ঈশ্বরদী,বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চল সহ নদীর তীরবর্তী বেশ কিছু গ্রামে এবং দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের আংশিক বন্যা দেখা দিয়েছে । ইতি মধ্যেই আমরা বন্যাদূর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং বন্যাদূর্গতদের জন্য আমরা ১৮ মেঃ চাউল বরাদ্দ দিয়েছি । বন্যার কি অবস্থা আমরা সব সময় খবর রাখছি । বন্যায় ফসলের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের নামের তালিকা করতে কৃষি অফিসকে নির্দেশ দিয়েছি ।
এবিষয়ে উত্তর অঞ্চলের ভারী শিল্প নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস্ লিঃ এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আবদুল কাদের বলেন, আগামী ১ লা নভেম্বর সুগার মিলটির চিনি উৎপাদন শুরু হবে । এই মিলে বেশির ভাগ আখের চাহিদা মেটানো হয় পদ্মার চরাঞ্চল থেকে । কিন্তু ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে পদ্মা নদীর চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার আখ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে । এতে করে মিলে চিনি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আংশকা করছি

আরও দেখুন

মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক….. নাটোরে পূজা মন্দির পরিদর্শন করেন রাজশাহীতে কর্মরত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *