শুক্রবার , এপ্রিল ২৬ ২০২৪
নীড় পাতা / Uncategorized / রাজশাহীতে হোমিও চিকিৎসককে আটকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

রাজশাহীতে হোমিও চিকিৎসককে আটকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহীঃ
রাজশাহীতে কথিত অ্যালকোহলসহ এক হোমিও চিকিৎসককে আটকের পর দেড় লাখ টাকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। গত রোববার রাত ৮ টার দিকে চন্দ্রিমা থানাধীন খড়খড়ি বাইপাস মোড়ে অবস্থিত ক্ষনিকের বন্ধু হোমিও চিকিৎসালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, ঘটনার ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) ও আটক অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ কর্মকর্তার পরষ্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।ডাঃ মামুনকে আটককালে কি পরিমাণ অ্যালকোহল উদ্ধার করা হয়েছিল বা আদৌ তার কাছে কোনো অ্যালকোহল পাওয়া গেছে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। খোদ অভিযান পরিরচালনাকারী কর্মকর্তাও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।নির্ভরযোগ্য ও পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজের (৪০) চেম্বারে অভিযান চালায় চন্দ্রিমা থানার এএসআই মনিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় অ্যালকোহল রাখার অভিযোগে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আব্দুল্লাহ আল মামুন মেহেরচন্ডী এলাকার আকতারের ছেলে। পরে রাত ২টার দিকে ডা. মামুনকে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে দুই লাখ টাকা দাবি করেন এএসআই মনির। এক পর্যায়ে দেনদরবারের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকায় সমঝোতা হয় ভুক্তভোগী ডা. মামুনের সাথে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মামুন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত রাতে মেহেরচন্ডি এলাকার রমজান নামের এক যুবক (পুলিশের সোর্স) আমার চেম্বারে আসেন চিকিৎসা নেয়ার জন্য। এসময় রমজান আমার কাছে অ্যালকোহল চান। আমি কিছু বলার আগেই সাদা পোশাকে এএসআই মনির এবং তার সহযোগী অপর দু’জন পুলিশ সদস্য চেম্বারে প্রবেশ করে তল্লাশী চালাতে থাকেন। এক পর্যায়ে একটি খালি বোতলসহ আমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।ভুক্তভোগী ডা. মামুন আরো বলেন, থানায় নেয়ার পর এএসআই মনির আমাকে বলেন, দুই লাখ দিলে আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে। শেষ পর্যন্ত রাত ২টার দিকে দেড় লাখ টাকায় আমাকে ছেড়ে দিতে সম্মত হন এএসআই মনির। এরপর সমঝোতা অনুযায়ী পুরো টাকা পরিশোধ করার পর আমাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।তিনি বলেন, আমার বাবার শুনাম রয়েছে। মানসম্মনের ভয়ে টাকার কথা চিন্তা না করে তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে বাধ্য হই। তিনি আরো বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এ ব্যাপারে কোনো নিউজ না করার অনুেেরাধ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি পুলিশের সাথে কোনো ঝামেলায় যেতে চাই না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মনির বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে ডাঃ মামুনকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি এলকোহলের ব্যবসা বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।তবে এ ব্যাপারে থানার ওসি সিরাজুম মনির বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ডা. মামুনকে আটকের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানায় ছিলেন কিনা সেটা রেজিষ্টার দেখে পরে জানাবো।

আরও দেখুন

পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম

নিউজ ডেস্ক: শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক অর্থ বোঝায় এমন ২৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *