শনিবার , এপ্রিল ২৭ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / টক অব দ্যা টাউন-সিংড়া যুবলীগ নেতার অসামাজিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল

টক অব দ্যা টাউন-সিংড়া যুবলীগ নেতার অসামাজিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক,সিড়া:  আওয়ামী লীগের চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যে বেড়িয়ে এলো এক যুবলীগ নেতার চারিত্রিক স্খলনের অনেক অজানা তথ্য৷। মঙ্গলবার ফেসবুকে এক বিউটিশিয়ানের সাথে তার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সিংড়ায় ব্যাপক আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় বইছে। বহিস্কৃত ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি সম্রাটের সাথেও তার ছিলো সুসম্পর্ক। 
নাটোর জেলার সিংড়ার উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান এর বিরুদ্ধে তার সুদর্শন চেহারা এবং মিষ্টভাষী আচার-আচরণ এর ফাঁদে ফেলে একাধিক তরুণীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।  কামরান এর প্রেমের ফাঁদে ঘর ভেঙেছে উপজেলার ছাতারদীঘি ইউনিয়ন এর এক দম্পতির৷
 স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রামের প্রান্ত ইসলাম এবং মিফতাহুল জান্নাত মিস্টি নামের এক দম্পতির ঘর ভেঙেছে যুবলীগ নেতা কামরান এর প্ররোচনায়।
 প্রান্ত ইসলাম এর সহধর্মিণী মিফতাহুল জান্নাত মিস্টি পেশায় একজন বিউটিশিয়ান। প্রান্ত ইসলাম একটি টেলকো কোম্পানিতে কর্মরত৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী প্রান্ত ইসলামের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, “বিভিন্ন প্রলোভোনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক কামরান, প্রান্ত ইসলাম এর স্ত্রী মিস্টির সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সম্পর্কের শুরুর দিকে প্রান্ত ইসলাম তার স্ত্রী কে সতর্ক করলেও কোন লাভ হয়নি৷ এক পর্যায়ে এই অবৈধ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তাদের একমাত্র ৭ বছরের কন্যা সন্তানকে ফেলে কামরান এর আশায় ঘর ছাড়েন মিস্টি।” বিভিন্ন হোটেলে তারা অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হোন। 
 ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায় যে ইতিমধ্যে গোপনে বিয়ে করেছেন কামরান এবং মিস্টি৷ যদিও বর্তমানে উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান, এবং যুবলীগের সেক্রেটারি কামরান এখনও পর্যন্ত মিস্টি কে সামাজিকভাবে নিজের স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেননি।স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় মিস্টির মত আরও অনেক বিবাহিত/অবিবাহিত নারীর সাথে কামরান এর অবৈধ সম্পর্ক আছে৷
জাতীয় পার্টির নেতা এবং সাবেক সাংসদ ইয়াকুব আলীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় উপজেলার বেলোয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান এর কন্যা সেজুতির সাথেও কামরান এর দীর্ঘদিনের অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের কথা এলাকাবাসীর সবারই জানা৷ কামরান এর সাথে অবৈধ সম্পর্কের কারণে পারিবারিকভাবে বেশ ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সুন্দর চেহারা সবকিছু থাকার পরও একের পর এক বিয়ের সমন্ধ ভেঙে যাচ্ছে সেজুতির৷
কিন্তু, সরকার দলীয় সংগঠন যুবলীগের উপজেলা সেক্রেটারি হওয়ার কারণে কামরান এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে ভয় পান এলাকার মানুষ। মিস্টি এবং সেজুতির মত আরও অনেক তরুণী কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের কে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ কামরান এর বিরুদ্ধে৷ নারী আসক্তির বাইরেও গোপনে অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে কামরান এর বিরুদ্ধে।এছাড়া ক্যাসিনো ঈসমাইল হোসেন সম্রাট এর সাথে তার দৃঢ় সখ্যতা ছিলো।

আরও দেখুন

বৈশাখের খরতাপে চলনবিলে শ্রমিকের মাঝে স্যালাইন-পানি বিতরণ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশাখের তীব্র তাপদাহে মানুষ ও প্রাণীকুলের জীবন-যাপন হাঁসফাঁস অবস্থা। বিশেষ করে চলনবিলের কৃষি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *