নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম
পাঁচ লাখ টাকার অথের্ র অভাবে জীবন সংকটে রেজাউল করিম (২৭) নামের এক সিভিল ডিপ্লোমার শিক্ষার্থী। তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। সপ্তাহে দুই দিন হেমোডায়ালাইসিস করিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে জীবন ঘড়ি। রেজাউল করিম উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের মাঝগাঁও বউবাজার এলাকার দিনমজুর বাবা জমসেদ আলীর দ্বিতীয় সন্তান।
জমসেদ আলীর জানান, দুই ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রী মিলে পাঁচ জনের সংসার তার। বড় সন্তান রবিউল করিম ঈগলু আইসক্রিম কম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করেন। রেজাউল নাটোরে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সিভিলে ডিপ্লোমায় সপ্তম সেমিষ্টারে শিক্ষার্থী। মেয়ে রুমী খাতুন দ্বাদশ শ্রেণীতে পরে। নিজের ভিটেমাটি বলতে ৩ শতক জমিতে টিনের টানা একটি দু’চালা ঘর। রেজাউল পড়ালেখার পাশাপাশি ছোট্ট একটি দোকান দিয়ে মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করত। এরমধ্যে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায়, তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রায় এক মাস ঢাকায় কিডনি ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা গ্রহণ করে আর্থিক সংকট দেখা দিলে বাড়িতে চলে নিয়ে। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি রোগ বিভাগের রেজিষ্টার ডা. সিদ্দিকুর রহমান সোহেলের কাছে চিকিৎসা শুরু করেন। সেখানে সপ্তহে দুইদিন হেমোডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। প্রতিবার ডায়ালাইসিস করাতে প্রয়োজন হচ্ছে ১৫০০ টাকা। এই টাকাও জোগার করা সম্ভব হচ্ছে না তার। ডাক্তার জানিয়েছেন স্থায়ী ভাবে সুস্থ্য হতে কিডনি ট্রান্সফার করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পারিশ্রমিক দিয়ে কোন মতে সংসার চলে। চলমান চিকিৎসায় অনেক টাকা ঋণী হয়ে পড়েছি। এভাবে আর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভভ হবে না। তাই কোন সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমার ছেলের জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে সহায়তা করলে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।
রেজাউল বলেন, ডায়ালাইসিস করাতে একদিন দেরি হলেই হাত-পা ফুলে যায়, তীব্র কষ্ট হয়। বাঁচার অনেক আকাঙখা আমার। কিন্তু সেটা তো আমার জন্য এখন দুঃস্বপ্নের মতো।
রেজাউলকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- মোঃ রেজাউল করিম, হিসাব নম্বর (ডাচ বাংলা ব্যাংক)- ২৬৮.১৫১.৪৯৬৮, মোবাইল নম্বর-০১৭৬৭-০৯৯১১১।
আরও দেখুন
মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার
নিজস্ব প্রতিবেদক….. নাটোরে পূজা মন্দির পরিদর্শন করেন রাজশাহীতে কর্মরত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার। …