নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর-৪ আসনে সতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থককে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের নিজেদের সমর্থক হিসেবে অস্বিকার করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকা প্রার্থী ডা.সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর অনুসারীরা। বুধবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নাজিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আইনজীবি জেসমুল হাসান প্রামানিক বলেন,‘ দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় “ সতন্ত্র প্রার্থীর দুই সমর্থকের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ নৌকা সমর্থকদের বিরুদ্ধে” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা তাদের নজরে এসেছে। মুলত আহত ব্যক্তি শরিফুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য আলম হোসেন একই ওয়ার্ডে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করেছিলেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ রয়েছে। আহত অপর ব্যক্তি সিরাজুল ইসলামের সাথেও তাদের পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। তাদের নিজেদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়ে মারপিট শুরু হয়। কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা ওই মারপিটের ঘটনাকে রাজনীতির মধ্যে প্রবাহিত করেছে। তার চাচা নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান। তার কাছে অনেকেই যাতায়াত করে থাকে। যারা অভিযুক্ত তারা নৌকা প্রার্থী কিংবা চেয়ারম্যানের সমর্থক না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করার জন্য যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এছাড়াও মারপিটের ঘটনা তদন্ত করে অপরাধীদের দ্রæত আইনের আওতায় নিয়ে আসারও দাবি জানান তিনি।’
নাজিরপুুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান,‘পারিবারিক দ্বন্দকে রাজনৈতিক হিসাবে চালানোর চেষ্টা করেছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা। তার ভাই আইয়ুব আলী প্রামানিক নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। তাছাড়াও নৌকা প্রার্থী ডা.সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিপক্ষদের হিংসে হচ্ছে। এ কারণেই ওই মারপিটের ঘটনার দোষ চাপিয়েছে নৌকা সমর্থকদের ওপর। যারা অভিযুক্ত তারা নৌকা বা চেয়ারম্যানের কেউ না। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক।’
উল্লেখ্য, গত (১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার) সন্ধায় নাজিরপুর বাজারের শরিফুল ইসলাম (৩৭) ও সিরাজুল ইসলাম (৩৫) কে ইউপি সদস্য আলমের নেতৃত্বে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। সতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বীন কুদ্দুস শোভনের সমর্থকরা দাবি করে বলেন, নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হামলা করেছে।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ উজ্জল হোসেন জানান,‘এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়াও পুলিশ ও ডিবি ওই এলাকায় টহল পরিচালনা করছে।