কৃষকদের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সব ধরনের সারের দাম কমানোর কথা
ভাবছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি জানান, সারের দাম
কমাতে ধানমন্ডির কার্যালয় এবং অর্থনৈতিক ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে
প্রস্তাব পাঠানো হবে। সারে যদি প্রণোদনা দেওয়া হয়, তবে সব কৃষকই সে সুফল
পাবে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও
পরামর্শক কমিটির এক সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানান। বর্তমান সারের মজুতের তথ্য
তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ২৪ লাখ ৩২ হাজার টন সারের মজুত
রয়েছে। এর মধ্যে টিএসপি ৩ লাখ ৪৯ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৯৭ হাজার টন, এমওপি
৭ লাখ ১৫ হাজার টন ও ইউরিয়া সার রয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার টন। দেশে বছরে ৫০
লাখ টন সারের চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় সব সারের মজুতই এবার
বেশি রয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ডিসেম্বর শেষে বোরো মৌসুম শুরু হবে।
মূলত এ সময়ে সারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। এ সময়ে সারের কোনো সংকট হবে
না।
ধানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ বছর ৬ লাখ টন ধান কেনা হবে সরাসরি চাষির কাছ থেকে, যা বাংলাদেশে অতীতে কোনোদিন হয়নি। গত বোরো মৌসুমে আমরা ৪ লাখ টন ধান কিনেছি, যা কেনার কথা ছিল দেড় লাখ টন। আগামী ২০ তারিখ থেকে আমন ধান কেনা শুরু হবে। আমরা মূলত প্রান্তিক চাষির থেকেই ধান কিনব। লটারি করে তাদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। আমন মৌসুমে যাদের কাছ থেকে ধান কেনা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে বোরো মৌসুমে ধান কেনা হবে না। এভাবে আমরা মোটামুটি সব চাষিকে সুযোগটা দিতে চাই।