নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালতের বিচারক। আজ সোমবার দুপুরে নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শরীফ উদ্দীন এই আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত শফিকুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার রানীনগর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৯ সালে উপজেলার বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের মৃত জেকের আলীর মেয়ের সাথে পাশের রানীনগর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ শুরু হয়। মাঝে মাঝেই স্বামী শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে মারধর করতো। বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে অনেকবার মিমাংসা হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবেই স্বামী শফিকুল ইসলাম তা মানতে চায়না। ২০১৭ সালের ২৭ মে বিকেলে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়াবাধে।
ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী শফিকুল ইসলাম ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে হত্যার পর মরদেহটি বাড়ির আঙ্গিনায় ফেলে রেখে পালিয়ে স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেয়। ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার এবং শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আকবর হোসেন বাদী হয়ে নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতের বিচারক মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে শফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন বিচারক।