নিজস্ব প্রতিবেদক,নলডাঙ্গা:নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের আব্দুল আলীমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল ১৮ আগস্ট বুধবার নলডাঙ্গা আমলি আদালতে এই মামলা দায়ের করেন নলডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়া মহল্লার বাসিন্দা বিমল কুমার দাস। ভূক্তভূগী বিমল কুমার দাস পৌরসভার শেখপাড়া এলাকার বুদ্ধদেব দাসের ছেলে। মামলার অপর দুই অভিযুক্ত হলেন আক্তারুজ্জামান রেন্টু এবং সমজান আলী। অভিযুক্তরা একই এলাকার বাসিন্দা।
মামরা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে আক্তারুজ্জামান রেন্টু,আব্দুল আলীম এবং সমজান আলীসহ ভূক্তভূগী বিমল কুমার দাসের শেখ পাড়ার বাড়িতে গিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে কাঠের বাটাম দিয়ে বিমলকে বেদম মারপিট করে রাস্তায় ফেলে দেয় তারা। মাটিতে পড়ে গেলে অপর অভিযুক্ত সমজান আলী বিমলের গলার উপর পা তুলে দিয়ে তার পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে বিমলের চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী বিমল জানান, ভাইস-চেয়ারম্যান আলীম দীর্ঘদিন থেকেই তাকে বিভিন্ন সময় চাঁদার দাবি করে হুমকি দিয়ে আসছে। চাঁদা না দিলে তাদের ব্যাবসা করতে দিবে না এমনকি এলাকায় বসবাসও করতে দিবে না। এরই জেরে গত ১৬ অক্টোবর সোমবার বিকেলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে তার কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
মামলার এক সাক্ষী অমূল্য কুমার জানান, ভাইস চেয়ারম্যান আলীম এবং তার সঙ্গীরা জোর করে বিমলের পুকুর থেকে জোর করে লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে নিয়ে গেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের এলাকায় বাস করাই কঠিন হয়ে যাবে।
অভিযুক্ত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলীম জানান, আমি কাউকে মারপিট করিনি। এমনকি কারো কাছে চাঁদার দাবিও করিনি। কেন বিমল আমার বিরুদ্ধে এমন মামলা করলো তা জানিনা।
কিচুক্ষণ পরে আলীম জানান, একটি সরকারি পুকুর আমি লিজ নিয়েছি। বিমল দাবি করে যে পুকুরটি তার লিজ নেয়া। এটা থেকেও সে মামলা করতে পারে।
যেহেতু আদালতে মামলা করেছেন বিমল, তাই আদালতের অপেক্ষায় থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নাই বলে জানান মামলার বাদী বিমল।