নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
বিয়ে বাড়িতে চলছিল খাওয়া দাওয়ার ধুম। ঠিক এমন সময়ে খবর এল, আসছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। প্রশাসনের গাড়ি আসা দেখেই পালাতে শুরু করলেন বর ও বরযাত্রীরা। থেমে গেল বিয়ের সব আয়োজন। অবশেষে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার এক কিশোরী। সহকারী কমিশনার (ভুমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু বন্ধ করেন এই বাল্যবিবাহ।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা সুলতানা বলেন, শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির (১৩) বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে পাশের উপজেলার আটুয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে শামিম হেসেনের (২১) সাথে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট দিনে হাজির হয়ে যান বর ও বরযাত্রীরা। বিয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বিকেল সারে তিনটার দিকে মেয়ের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার ভুমি। প্রশাসনের লোক আসছে শুনে বর ও বরযাত্রীরা একে একে পালাতে শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, মেয়ের বাবার সঙ্গে আলোচনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে মুচলেকা ও বাল্যবিয়ের আয়োজনের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিয়ে বন্ধ করে দেন সহকারী কমিশনার ভুমি ।
মেয়েটির বাবা বলেন, প্রশাসনের কথায় রাজি হয়ে মুচলেকা দিয়েছি। মেয়েটিকে এখন আবার স্কুলে পড়াব। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আর বিয়ে দেব না। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তাও চান।
সহকারী কমিশনার ভুমি বোরহান উদ্দিন মিঠু বলেন, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে আমরা বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। মুচলেকা দিয়েছেন মেয়েটির বাবা। ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশকে এ বিষয়টি নজরদারিতে রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।