নারদ বার্তা পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
মানসিক ভারসাম্যহীন ভাগ্নেকে ছাড়াতে গিয়ে শিউলী খাতুন নামে এক নারীকে আটক করে থানায় নির্যাতনের পর কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার দুপুরে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এসময় কথা বলেন ভুক্তভোগি শিউলী খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনের ভুক্তভোগি শিউলী খাতুন বলেন, সংবাদ সম্মেলনে শিউলী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে তার বোনের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ইমনকে পুলিশ একটি ছিনতাই মামলায় আটক করে এবং পরের দিন (১৩ সেপ্টেম্বার) সকালে শিউলী ও তার মা সাহেলা বেগম ইমনকে দেখতে গিয়ে সে ভারসাম্যহীন দাবি করে ডাক্তারের চিকিৎসাপত্র দেখালেও পুলিশ তা না শুনে তাদেরকে নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। পরে শিবগঞ্জ থানারও ওসি, এসআই সিরাজ, এএসআই শহিদুল ও এক মহিলা কনষ্টেবল শিউলী খাতুনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে এবং বেধরক মারধর করে তাকে প্রায় বিবস্ত্র করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে শিউলী খাতুন আরও অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের হাতে জব্দকৃত মাদক তার সৎ ভাই দুলালকে দিয়ে পুলিশ ব্যবসা করায় এবং দুলালের সাথে তাদের পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পুলিশ তার পক্ষ নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগির মা সাহেলা বেগম, মেয়ে ইশিতা, বোন তামান্না খাতুন ও স্থানীয় রোজন। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করে শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন, ছিনতাই ঘটনায় জনতার হাতে আটককৃত ইমনকে থানা থেকে ছাড়া না হলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে শিউলী খাতুন। এসময় পুলিশ তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে উল্টো পুলিশকেই মারধর করেছে।
