নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্য থেকে উঠে আসা অবিসংবাদিত ক্ষণজন্মা নেতা। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষণ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। দক্ষ প্রশাসক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ হিসাবে তাঁর অবদান অসামান্য।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৯ আগস্ট) এক আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলার আপামর জনসাধারণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল গভীর আস্থা ও ভালোবাসা। পূর্ব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য রোধের জন্য তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তাঁর আন্দোলন-সংগ্রামে নেপথ্যে থেকে সবসময় সহায়তা করেছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের ভিত প্রস্তুত করেন মন্তব্য করে স্পিকার বলেন, ‘কৃষি উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, অর্থনৈতিক সচ্ছলতা, শিশু আইন, পরিকল্পনা কমিশন, প্রথম পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা, কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ আইন পাস ছিল তাঁর দূরদর্শী প্রজ্ঞা।’
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অমানবিক ও বেদনাদায়ক ঘটনার নজির আর নেই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, হুইপ ইকবালুর রহিম। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম।