নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে না পেয়ে নির্ধারিত তারিখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
আজ রবিবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি এলাকা থেকে চরাগ্রাম পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াত ইসলামির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আমানুল্লাহ, পৌর জামায়াতের আমির আবুল হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোহুরুল ইসলাম সোহেল, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সহ অন্যান্যরা ।
জামায়াতের আইন বিষয়ক জামায়াত নেতা এ্যাড. শফিক এনায়েতুল্লাহর কাছে বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রথমত বিক্ষোভ মিছিলের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় অনুমতি চাইলে সেখানে অনুমতি না দিয়ে পিটিআই এলাকায় মৌখিক অনুমতি দেন ওসি সাজ্জাদ হোসেন। পরবর্তীতে ওসি সাজ্জাদ ফোন করে আবারো জানান পিটিআই এলাকায় না করে শহরের বাইরে করার মৌখিক অনুমতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে চড়াগ্রামে এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠুনিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। সারাদেশে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে হবে। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আর যদি দাবিগুলো মানা না হয় তাহলে আগামীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান নেতারা।
এদিকে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন তারা কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই এ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তবে এ বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। তবে সেখানে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ জানান জামায়াত-শিবির হচ্ছে নাশকতা ও জঙ্গিবাদের সংগঠন। তারা এ প্রতিবাদ সভাগুলো করেই নাশকতার পায়তারা করছে এবং প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এ প্রতিবাদ সভা গুলো করে যাচ্ছে। প্রশাসনকে যদি এভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জামায়াত শিবির প্রোগাম করে থাকে তবে এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। তবে সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বলেন আমরা এটা ভালো চোখে দেখছি না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাজ্জাদ হোসেন আমাদের সাথে আলোচনা না করেই রাতের অধারে আতাত করে এ ধরনের বিক্ষোভ মিছিল অনুমতি দিয়ে আসছেন। তিনি আরও জানান সদর মডেল থানার ওসি রাতের আধারে জামায়াত বিএনপির সাথে বসে যোগসাজশ করে অনুমতি দিচ্ছে। সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বলেন আমার কাছে ওসির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছে সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষে না করে সব সময় সরকার বিরোধী যারা নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে।