হাসিনা সরকার আমলে ইলিশ উৎপাদনে কঠোর নজরদারির ফলে জাতীয় মাছটির উৎপাদন বেড়েই চলেছে। ইলিশ মাছ আহরণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ইলিশের উৎপাদন কমলেও বাংলাদেশে প্রতিবছরই বাড়ছে। আগামীতে আরও বাড়বে বলে আশা করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া অপর ১০টি দেশেই উৎপাদন কমেছে। সুষ্ঠু ও সঠিক ইলিশ ব্যবস্থাপনার কারণে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে ইলিশ উৎপাদন বেড়ে ৫ লাখ ১৭ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। আর ১০ বছর আগে দেশের ২১টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।
গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ৭৩ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। একই বছর জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের অবদান দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। বাংলাদেশে ইলিশ প্রধান জেলা হল ১৭ টি। সেখানে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীতে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে, যেমন সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এবং মার্চ-এপ্রিলে ডিমের মৌসুমে – মা ইলিশ আর অপ্রাপ্তবয়স্ক জাটকা ইলিশ ধরা নিষেধ।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়
স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ পশুসম্পদ ক্যাডার বহির্ভূত
কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি কর্তৃক উত্থাপিত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের
জন্য সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের লক্ষ্যে রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের সুপারিশ
বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে এবং অধিদপ্তর কর্তৃক কাজের সফলতা ও অগ্রগতি বিষয়ে
প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় বৈঠকে জানানো হয়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় মৎস্য অধিদপ্তর
কর্তৃক ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়ন
অগ্রগতি ৯৮.৮৩%। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।