নিউজ ডেস্ক:
দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সফরকালে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া)-এর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়, বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গোপালগঞ্জে এখন সাজ সাজ রব। জেলাজুড়ে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবারই প্রথম ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জ আসছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ঢাকার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে সড়কপথে রওনা হয়ে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা ১১টায় প্রথমে কোটালীপাড়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে পৌঁছে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয়ের ফলক উন্মোচন করে তিনটি বৃক্ষরোপণ করবেন। এরপর স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন দলীয় সভাপতি।
পরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। অংশ নেবেন মোনাজাতে। ওই দিন রাতে নিজ বাসভবনে রাত্রিযাপন করবেন শেখ হাসিনা।
পরদিন রোববার টুঙ্গিপাড়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
ঘরের মেয়ে শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফর নেতা-কর্মীদের ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
তার আগমনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা প্রশাসন এবং জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ। টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে করা হয়েছে শোভাবর্ধন। সড়কের মোড়ে মোড়ে টানানো হয়েছে নানা ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বর্ণিল তোরণ।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক আনন্দ কাজ করছে। কেননা ঈদ পরবর্তী এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময় হবে। তাই নেতা-কর্মীরা একটু বেশিই আনন্দিত।’
সরকারপ্রধানের সফরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবল আলম দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সব প্রস্তুতিও ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।’
এ সফরে প্রধানমন্ত্রী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দিক-নির্দেশনা দেবেন বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।