নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর, নাটোর প্রতিনিধঃ নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে নাটোরের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের একটি সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ওই কাজ বন্ধ করে। এছাড়াও ওই কাজ তদারকির দায়িত্বে অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলীকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর লালপুর উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর আখ ক্রয় কেন্দ্র থেকে কুজিপুকুর হাট পর্যন্ত ১৩৩৫ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় গত মে মাসের শেষের দিকে। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।
রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের মধ্যে নিম্নমানের ইটের টুকরা ফেলে রাখা আছে। নিচের স্তরে নামমাত্র খোয়া দিয়ে মাটির ভরাট দেওয়া হয়েছিলো। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় গত সপ্তাহে কাজ বন্ধ করে দিলেও ঠিকাদার কাজ চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দূর্গাপুর, কুজিপুকির এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, এই কাজটি ২০২১-২২ অর্থ বছরে বরাদ্দ হয়। কিন্তু এক বছর পর কাজ শুরু করছে। তারপরও নিম্নমানের ইট দিয়ে।
এ বিষয়ে উক্ত প্রকল্পের দ্বায়িত্বে থাকা এলজিইডির লালপুর উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু জাফর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আলমগীর বলেন, ‘নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল ট্রেডার্সের নামে ওই কাজ বরাদ্দ হয়। ওই কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়। তবে শোকজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুরু থেকেই এই কাজের বিপক্ষে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রভাবশালী হওয়ায় আমাকে অন্যায়ভাবে শোকজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল ট্রেডার্সের প্রোপাইটর নাজমুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শর্ত মোতাবেক এখন কাজ হবে। এটি নতুন সড়ক। ভাল করে না করলে টিকবে না।