নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নাটোরের লালপুরে প্রায় ৫০ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছে স্থানীয় খামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানা যায়,গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড় ১০ হাজার ৪৬৪টি, বলদ ৩ হাজার ৮২৬টি, গাভি ৮৮৫টি, মহিষ ৪৫৪টি, ছাগল ৩০০ হাজার ১০০টি, ভেড়া ৩ হাজার ১৪২টি সহ মোট ৫০ হাজারটি গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলায় পশুর চাহিদা ৩৬ হাজার ৭৩০ হলেও ১২ হাজার ১৪০টি পশু বেশি রয়েছে। যা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে জানা গেছে।
মতামত,উত্তর লালপুর গ্রামের খামারি মিশুক হাসান সোহাগ বলেন,এবছর উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজার ভালো আছে। আশানুরূপ দাম পেলে আমরা খামারিরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সন্তোষপুর গ্রামের খামারি মুর্শিদা খাতুন জানান, দুই বছর করোনার কারণে আমরা খামারিরা লাভবান হতে পারেনি। এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত করে পাঁচটি গরু ঢাকায় পাঠিয়েছি। বাকিগুলো স্থানীয়ভাবে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করেছি। আশা করি এবার আমরা লাভবান হব। এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার চন্দন কুমার সরকার বলেন, লালপুরের চাহিদা তুলনায় প্রায় ১২ হাজার বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে। খামারিরা ঢাকা সহ সারাদেশে সেগুলো পাঠাচ্ছেন। বাজার স্থিতিশীল থাকলে আশাকরি খামারিরা লাভবান হবেন।