চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এসব রপ্তানির প্রায় অর্ধেক হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে। ইউরোপে ১৯.২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ৪৯.৭৮ শতাংশ। গতকাল তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৩৮.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। মোট পোশাক রপ্তানির মধ্যে ১৯.২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক (রপ্তানির ৪৯.৭৮ শতাংশ) ইইউর বাজারে গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক, যা মোট রপ্তানির ১৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। এই সময়ে কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক, যা মোট রপ্তানির ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।
ইইউতে ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি উল্লিখিত সময়ে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৩৩% হ্রাস পেয়ে ৫.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ফ্রান্স ও স্পেনে পোশাক রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ২.৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ২২.২১ ও ১৬.৬৯ শতাংশ। ইতালিতে ৪২.৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে এবং ১.৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি যথাক্রমে ৪৬.৪৩ ও ১৭.৫৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তুলনামূলকভাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে ৭.১৩ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ৬.৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য ও কানাডা উভয় বাজারে রপ্তানিতে যথাক্রমে ১০.৮৮ ও ১৬.০৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও কোরিয়ার মতো প্রধান বাজারগুলোতে রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ১.৩২ বিলিয়ন, ৯৬১.৩০ মিলিয়ন, ৮৮৯.০৬ মিলিয়ন ও ৪৭৭.৮১ মিলিয়ন ডলার।