নিজস্ব প্রতিবেদক:
নওগাঁর রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়নের মিরাট উত্তরপাড়া পীরপাল ইমাম সাহেব ওয়াক্ফ এস্টেট (ই.সি.নং ১২৪১) কেন্দ্রীয় কবরস্থান জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে সমস্যাটি সমাধান করার নিমিত্তে গ্রামবাসীদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কবরস্থান পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১০সালে মিরাট মৌজার ১নং ওয়ার্ডের জন্য জেএল নং ০৮ ও ২০নং খতিয়ানের ৪২১৪ ও ৪২১৫দাগে ৩৫শতাংশ জমি কেন্দ্রীয় কবরস্থানের নামে পীরপাল হিসেবে দান করে কতিপয় ব্যক্তিরা। এরপর থেকে কবরস্থানে পুরো উত্তরপাড়া গ্রামের জনসাধারণ মৃত ব্যক্তিদের দাফন-কাফন কাজ সম্পন্ন করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি পীরপালের জন্য জমি দাতা মৃত অছির আলী ফকিরের সকল ছেলেসহ ওই পরিবারের সকল সদস্যরা বিভিন্ন ভাবে কবরস্থানটি জবরদখলের জন্য জোরপূর্বক কবরস্থানে গাছ রোপন করা, ইটের প্রাচীর, সাইনবোার্ড সরিয়ে ফেলা ও মৃত ব্যক্তিদের কবরগুলো ভেকু মেশিন দিয়ে সরিয়ে ফেলার হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছে।
এইসব বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই ছাইফুলের ছেলে সেনাবাহিনীতে কর্মরত মিঠুর মাধ্যমে অছির আলী ফকিরের ছেলেরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মিথ্যে নারী নির্যাতনের মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। অভিযুক্ত মৃত-অছির আলী ফকিরের ছেলে আমজাদ আলী ফকির মুঠোফোনে বলেন ওই পীরপালের জন্য ৫শতাংশ জমি দান করা হয়েছে। কিন্তু তারা অতিরিক্ত জমি কবরস্থানের নামে দখল করে আসছে। আমরা সেই অতিরিক্ত জমি ফেরত চাই।
কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন কবরস্থানটি পরিচালনা করার নতুন কমিটি গঠন করার পর থেকে আমজাদ আলী ফকিরসহ তাদের পরিবারের সবাই পায়তারা শুরু করেছে। এই কবরস্থানটি পুরো গ্রামবাসীর জন্য। কিন্তু আামজাদ আলী এটি দখল করে শুধুমাত্র তাদের পরিবারের জন্য ব্যবহারের পাায়তারা করে আসছে। যার কারণে এই কেন্দ্রীয় কবরস্থান নিয়ে পুরো গ্রামবাসীদের সঙ্গে আমজাদ গংদের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রশাসনিক ভাবে সকল কাগজপত্রাদি যাচাই-বাছাই পূর্বক এই সমস্যার একটি সুন্দর সমাধান কামনা করছি আমরা পুরো গ্রামের বাসিন্দারা।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন এই বিষয়ে আমি কবরস্থান পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত সমাধান করা হবে।