নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় জনবহুল এলাকা শেরকোলের তেলিগ্রাম-বক্তারপুর গ্রামে জনবহুল মুরগীর খামার গড়ে উঠায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারনে ঐ এলাকার পরিবেশ দূষন সহ ছেলে মেয়েদের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এদিকে পরিবেশ কর্মীরা ও জানিয়েছে জনবহুল এলাকায় মুরগীর খামার পরিবেশ আইনের পরিপন্থী। খামারটি ঐ স্থান থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে অনেকে।
জানা যায়, সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের বক্তারপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় বসবাস করে প্রায় ২৫ টি পরিবার। প্রায় ৬/৭ বছর থেকে ঐ এলাকায় আবু সাইদ এবং শাহানূর খামার গড়ে তোলে। স্থানীয়দের মানা নিষের্ধ সত্বেও খামার করে। এর পর থেকে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঐ এলাকা দিয়ে চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ছেলে মেয়েরা দুর্গন্ধের কারনে খেলাধুলা করতে পারে না।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ঐ গ্রামের আজের প্রামানিকের ছেলে শাহানুর এবং মাসুদ দুটি খামার গড়ে তোলে। জনবহল এলাকায় মুরগীর দুটি খামার গড়ে উঠেছে। ২০/২৫ টি পরিবার দুর্গন্ধে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের বললেও তারা মানা নিষের্ধ শুনে না। এলাকায় বসবাস করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিদের বিচার দিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। কয়েকদিন ঔষধ দেয়। তারপর যে লাউ, সেই কদু অবস্থা।
ইয়ারজান বেগম বলেন, দুর্গন্ধের কারনে থাকতে পারিনা। নামাজ পড়তে পারি না। খাবার মুখে যায় না। ছেলে মেয়েরা বাইরে এসে খেলাধুলার পরিবেশ পায় না।
আজমল মোল্লা বলেন, আমরা এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েছি কোনো ব্যবস্থা হয়নি। বাচ্চারা বাইরে খেলতে পারে না। এমন বিচ্ছি দুর্গন্ধ, যা ভাষায় বলা যায় না।
খামার মালিক শাহানুর বলেন, আমরা অনেক দিন আগেই খামার দিয়েছি,তাছাড়া খামারে তো আমরা ঔষধ দেই এখন যদি কারো সমস্যা হয় আমাদের করার কি আছে, তার কাছে পরিবেশের কোন লাইসেন্স আছে কি-না জানতে চাইলে তার কাছে কোন সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এসএম ইফতেখারুল ইসলাম জানান, জনবহুল এলাকায় খামার গড়ে তোলা ঠিক নয়, এবিষয়ে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে খামারটি লাইসেন্সকৃত কি-না কিংবা পরিবেশ কেমন সে বিষয় আমরা খতিয়ে দেখবো।