নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারী নিয়ম তোক্কা না করে ও অনুমোদন ছাড়াই নাটোরের লালপুরে রাতের অন্ধকারে ও দিনের আলোতে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে পদ্মা নদীতে বালু ও মাটি হরিলুটের হিড়িক। এই মাটি ও বালু উত্তোলন বন্ধর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এবং স্থানীয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাচ্ছে না পদ্মা নদীর তীরবর্তী মানুষেরা।ফলে প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে তারা।
এছাড়া ভয়ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য স্থানীয়দের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বালু ও মাটি উত্তেলকারীদের বিরুদ্ধে।
উৎকোচের বিনিময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পানি শূন্য পদ্মা নদীর তলদেশ থেকে নিমতলী সহ বিভিন্ন এলাকায় রাতে অন্ধকারে ও দিনের আলোয় অবৈধ ভাবে ভেকু দিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলনের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি খেকোরা বলে অভিযোগ তুলেন স্থানীয়রা। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর অপরিকল্পিত ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের কারণে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,ঈশ্বরদী ইপিজেড,পাকশি হার্ডিঞ্জ ব্রীজ,লালপুর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন,প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পর গরীবের ঘর,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা ভবন,হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি,বাড়ী ঘর,নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে স্থানীয়রা।
এবিষয়ে পদ্মায় বালু ও মাটি উত্তোলকারীর পক্ষ থেকে একজন বলেন, আমরা বৈধ ভাবে ইজারা নিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করছি। এবিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ টুটুল বলেন,পদ্মা নদীর নিমতলী এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীদের নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি।
বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সহ জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় নিউজ গুলো প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন বরাবর আবেদন দেওয়া হয়েছে। তার পরেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জু বলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, লালপুর থানার ওসি সহ আমি চেয়ারম্যান হিসেবে পদ্মা নদীর নিমতলী এলাকায় বালু ও মাটি উত্তোলের জায়গা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এই কারণে বালু ও মাটি উত্তোলনকারীদের পক্ষ থেকে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আর বালু ও মাটি উত্তোলনের বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক বলেন,পদ্মা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের বিষয়টি জানা ছিলোনা। অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনাণুগ ব্যবস্থা নেবো।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন,পদ্মা নদী এলাকায় ইজারার বাহিরে বালু ও মাটি উত্তোলন করার কোন সুযোগ নাই। এছাড়া অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …