নিউজ ডেস্ক:
এ ব্যাপারে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অব্যহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশীদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের সহযোগিতা করে যাব।’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অব্যাহত সহযোগিতার অংশ হিসেবে জরুরি সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে সাড়ে ৪ মিলিয়ন অর্থ্যাৎ ৪৫ লাখ ডলার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে বুধবার এ সংক্রন্ত নতুন অংশিদারিত্ব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বলে জানিয়েছে বাসস।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপানের এই অনুদান কক্সবাজার ও ভাসান চরের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও বাংলাদেশিদের জীবনরক্ষাকারী সেবা জোরদার করবে।
এ ব্যাপারে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি স্বেচ্ছামূলক, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য অব্যহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাংলাদেশীদের জীবনমান উন্নয়নে আমরা ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য মানবিক অংশীদারদের সহযোগিতা করে যাব।’
তিনি এই বিপুল সংখ্যক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত শরণার্থীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিওগুলোর ভূমিকার ভূয়োসী প্রশংসা করে রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয় দেয়া স্থানীয় বাংলাদেশী লোকদের জন্য অব্যহত সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
কক্সবাজারে, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্যানিটেশন ও হাইজিন পণ্যের প্রবেশাধিকার এবং স্বাস্থ্য সেবায় অব্যহতভাবে ওয়াশ ফ্যাসিলিটিজ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
ভাসান চরে, জাপানের এই অনুদান দিয়ে ইউএনএইচআরসি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও জীবিকা নির্বাহ কার্যক্রম বাড়াতে পারবে।