বুধবার , নভেম্বর ৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / শহরে ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলবে না মোটরসাইকেল

শহরে ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলবে না মোটরসাইকেল

নিউজ ডেস্ক:

বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন নীতিমালা আসছে। ইতোমধ্যে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা, ২০২৩’ এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে। শিগগিরই এটি অনুমোদন পেতে পারে। নীতিমালা অনুযায়ী শহর এলাকায় ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। অন্যদিকে মহাসড়কে ১২৬ সিসির কম মোটরসাইকেল চলতে পারবে না এবং পেছনে কোনো আরোহী নিয়ে চলতে পারবে না। সংশ্লিষ্টরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, খসড়া নীতিমালায় তিনটি উদ্দেশ্য সামনে রাখা হয়েছে। প্রথমটি হলো- মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো। দ্বিতীয়টি হলো মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি করা। তৃতীয়ত, মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো। খসড়া নীতিমালায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোনো ব্যক্তির কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। আর নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার আগে ক্রেতার কাছে মোটরসাইকেল হস্তান্তর করা নিষেধ রয়েছে। মোটরসাইকেলের পরিবেশক, আমদানিকারক, উৎপাদনকারী ও প্রতিনিধিদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের নিবন্ধন করে ক্রেতার কাছে মোটরসাইকেল হস্তান্তরের সময় বিএসটিআই অনুমোদিত মানের দুটি হেলমেট সরবরাহ করতে হবে। ঢাকাসহ শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩০ কিলোমিটার।
অন্যদিকে মহাসড়কে ১২৬ সিসির কম মোটরসাইকেল চলতে পারবে না এবং পেছনে কোনো আরোহী নিয়ে চলতে পারবে না। ঈদ বা দুর্গাপূজার মতো উৎসব বা পার্বণকালীন সময়ে ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। যে কোনো সড়কে গর্ভবর্তী নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মোটরসাইকেলের আরোহী হিসেবে নেয়া যাবে না।
সূত্র জানায়, দেশে বর্তমানে ৪০ লাখ মোটরসাইকেল রয়েছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। এদের নিয়ন্ত্রণের জন্যই নতুন নীতিমালা করা হবে। খসড়ায় বিআরটিএকে দেয়া নির্দেশনা বলা হয়েছে, লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির নামে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন করা ও মালিকানা বদল করা যাবে না।
মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানোর সময় চালককে নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি (চেস্ট গার্ড, নি গার্ড, এলবো গার্ড, গোড়ালিঢাকা জুতা বা কেডস, সম্পূর্ণ আঙ্গুল ঢাকা গøাভস, ফুল প্যান্ট ও ফুল শার্ট) ব্যবহার করতে হবে। মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম

(এবিএস) থাকতে হবে। এই ব্যবস্থা মোটরসাইকেলের চাকায় লাগাতে হয়। এই ব্যবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে চালক মোটরসাইকেল ব্রেক করলে তাৎক্ষণিক থামবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি নীতিমালার খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই খসড়াটি অনুমোদন পেতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নীতিমালা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
খসড়া প্রণয়ন কমিটির প্রধান আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, মোটরসাইকেল প্রয়োজনীয় হলেও এটা গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু বেড়ে যাবে। মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ জরুরি। স্কুটি মোটরসাইকেল ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। কম গতির এই মোটরসাইকেলে দুর্ঘটনা কম হয়। সরকার সেটাই করতে চাইছে।

আরও দেখুন

সিংড়ায় যৌথবাহিনীর ব্যাপক তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,, সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায় যৌথবাহিনী। এসময় তাদের মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, কাভার্ড …