সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / শিল্পপতি রফিককে ফাঁসানোর চেষ্টায় লালপুরের মাদক ব্যবসায়ী খোকন

শিল্পপতি রফিককে ফাঁসানোর চেষ্টায় লালপুরের মাদক ব্যবসায়ী খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

নাটোরের লালপুর উপজেলার মাদক ব্যবসায়ী মুন্না আহম্মেদ খোকন নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আর.আর.পি গ্রপের মালিক মুনছুর আলমের ছেলে রফিকুল আলম রফিককে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী খোকনের অপপ্রচারে হতভম্ব হয়ে পড়েছেন শিল্পপতি রফিকুল আলম রফিক ও স্থানীয় সুধি সমাজ।

কিছু ভুঁইফোড় অনলাইন গনমাধ্যমে রফিকুল আলম রফিক ও প্রশাসনকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করিয়ে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছেন খোকন।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, একাধিক মাদক ও চাঁদাবাজী মামলার আসামী মুন্না আহম্মেদ খোকন লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী । সে এলাকায় বাবা খোকন নামেই পরিচিত। পড়াশোনা না জানলেও সে নিজেকে সাংবাদিক হিসেবেও পরিচয় দেয় । তার মাদক কারবারে অতিষ্ঠ লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়ন সহ আশেপাশের উঠতি বয়সি ছেলেদের অভিভাবকরা। সে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তানি এন্টারপ্রাইজের ফোর ম্যান হিসেবেও কাজ করেন। সেই সুবাদে বর্ডার এলাকায় কাজে গিয়ে সেখান থেকে মাদক এনে এলাকার উঠতি বয়সীদের কাছে বিক্রি করেন। এছাড়াও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তানি এন্টারপ্রাইজের যোগসাজসে শতশত শ্রমিককে কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

লালপুর উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শ্রমিক নিয়ে গিয়ে ছয় মাস থেকে ১ বছর অবধি কাজ করিয়ে টাকা না দিয়েই বাড়ি ফেরত পাঠায় সে। এ বিষয়ে লালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও করেন তার অধিনে কর্মরত শ্রমিকরা। নাটোর জেলা জজ কোর্ট থেকে চাঁদাবাজী ও মাদক মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বত্তদের হামলায় সে আহত হলে নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান আরআরপির কর্ণধার শিল্পপতি রফিকুল আলম রফিক ও থানা পুলিশকে জড়িয়ে কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায়। গনমাধ্যমের কাছে সে দাবী করে পাখি মারার প্রতিবাদ করায় তাকে শিল্পপতি রফিক মারপিট করেছে।
কিন্তু পুলিশ ঘুষ খেয়ে মামলা নিচ্ছে না। একজন মাদক কারবারীর এমন নাটক দেখে হতবাক সুসিল সমাজ ও প্রশাসন। এ বিষয়ে মুন্না আহম্মেদ খোকন বলেন, পাখি মারার প্রতিবাদ করায় আমাকে মারপিট করা হয়েছে। থানা পুলিশ ঘুষখোর। তারা মামলা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে শিল্পপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমি এই যুবককে কখনো দেখিও নাই। তাকে চিনিও না। তার সাথে আমার শত্রুতা হবে কিভাবে। কিন্তু আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সে ভাইরাল হতে চাচ্ছে। এ ঘটনার পর আমি তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখি সে লালপুর উপজেলার দাগী মাদক কারবারী। আমার কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবী করলে আমি না দেওয়ায় এবং প্রশাসনের উপর তার ক্ষোভ থাকায় দুর্বত্তদের দ্বারা আহত হওয়ার পর সে আমাকে ও প্রশাসনকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ করিয়েছে। তার বিরুদ্ধে লালপুর থানায় চাঁদাবাজী, মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও পাওয়ার গ্রীড কোম্পানিতে সে ফোর ম্যান হিসেবে কাজ করায় শতশত শ্রমিকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। আমি প্রশাসনের কাছে এই প্রতারকের বিচার দাবী করছি।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …