বৈশ্বিকমন্দা, নানামুখী বিধিনিষেধের মধ্যেও খোলাপণ্য ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে ২০২২ সালে নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবে একই সময়ে প্রায় দুই শতাংশ কমেছে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এবার বিশ্বব্যাপী আমদানি-রফতা বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব ছিল। যার প্রভাব পড়েছে বন্দরের কার্যক্রমেও।
সদ্যসমাপ্ত বছরে চট্টগ্রাম বন্দরে মোট কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩১ লাখ ৪২ হাজার টিইইউএস। যা ২০২১ সালের তুলনায় প্রায় ৭২ হাজার টিইইউএস কম। তবে কন্টেইনারে এই হতাশার বিপরীতে অবশ্য আশার আলো দেখিয়েছে খোলাপণ্য ও মোট জাহাজ হ্যান্ডলিং। গতবারের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ মেট্রিক টন বেশি খোলাপণ্য হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি বন্দরে একই সময় জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে ১৫২টি।
চট্টগ্রামবন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমরফারুক জানান, গেল বছরের প্রথমভাগে বেশ ভালো শুরু হলেও আগস্ট মাস থেকে অব্যাহতভাবে কমেছে বন্দরে পণ্য উঠানামা।
আমদানি-রফতানির নেতিবাচক প্রভাব দিয়ে বন্দরের সক্ষমতাকে যাচাই করার এই প্রক্রিয়া সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীক নেতারা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম তালুকদার বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে চলমান মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করা দরকার।
ব্যবহারকারীদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে বন্দরের পাশাপাশি কাস্টমস, ব্যাংকগুলোরও বিশেষ উদ্যোগ দরকার বলে মত দিয়েছেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো রাকিবুল ইসলাম।