ঢাকায় আরও ১৫টি পরিবহন কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিক সমিতি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
সোমবার ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে মোহাম্মদপুর, গাবতলী ও আজিমপুর থেকে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্যের এই ১৫টি কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিংয়ে যাত্রী পরিবহন করবে। মঙ্গলবার থেকে এসব গাড়ি ই-টিকিটে যাত্রী নেবে।
সমিতির মহাসচিব বলেন, বাকি গাড়িতে ই-টিকিটিং কার্যকর করার লক্ষ্যে সমিতির তিনটি ভিজিল্যান্স টিম প্রতিদিন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া সমিতি থেকে নিয়োগ করা ৯ জন স্পেশাল চেকার প্রতিদিন রোডে মনিটরিং করছে। যেসব বাস এখনো নিয়মের মধ্যে আসেনি, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এনায়েত উল্যাহ জানান, ঢাকা ও আশপাশের শহরগুলোর মধ্যে মোট ৯৭টি কোম্পানির ৫ হাজার ৬৫০টি বাস যাত্রী পরিষেবা দেয়। এরমধ্যে ৪৫টি কোম্পানির ২ হাজার ৩৫৪টি বাস ই টিকিটিংয়ের আওতায় এল।
সংবাদসম্মেলনে জানানো হয়, এর আগে প্রথম ধাপে মিরপুরকেন্দ্রিক ৩০টি বাস কোম্পানিকে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আনা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের ১৫টি মিলিয়ে মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম খোকন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
যে ১৫ কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে
মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মালঞ্চ পরিবহন লিমিটেড, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (১) (রুট-এ-১৪১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (২) (রুট-এ-২৯২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, বিকাশ পরিবহন লিমিটেড, গাবতলী এক্সপ্রেস লিমিটেড, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোং লিমিটেড, ভিআইপি অটো মোবাইলস লিমিটেড, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন লিমিটেড এবং স্বপ্ন পরিবহন লিমিটেড।