এবার চাহিদা কিছুটা কমিয়ে সাত ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কোটা সুবিধা চেয়ে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব যাচ্ছে ভারতে। রমজানের আগেই ভোগ্যপণ্য আমদানিতে কোটা সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। কোটা সুবিধার আওতায় ভারত থেকে আসবে চাল, গম পেঁয়াজ, ডাল, চিনি, রসুন ও আদার মতো সাত ভোগ্যপণ্য।
ভোগ্যপণ্যের আমদানিতে ইতোমধ্যে সঠিক চাহিদা নিরূপণে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সরকারি পাঁচ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত ও পরামর্শ ও চাওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে ট্যারিফ কমিশন। আগামী সপ্তায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে কোটা সুবিধায় পণ্য আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব যাবে ভারতে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
বর্তমানে নেপাল ও ভুটান ভারত থেকে কোটা সুবিধায় খাদ্যপণ্য আমদানি করছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত থেকে বরাবর চাহিদামতো অনেকটা দরকষাকষি করে পণ্য আমদানি করা হতো। এর পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশ বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে বিপুল পরিমাণ গম আনতেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু চলমান যুদ্ধের কারণে এ দুটো দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে।
বিকল্প বাজার থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করা সম্ভব হলেও তা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ। এ কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানিতে আগ্রহী সরকার। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ভোগ্যপণ্যের কোটা সুবিধা চাওয়া হয়। সেই সময় বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য প্রতিবছর ৪৫ লাখ টন গম, ২০ লাখ টন চাল, ৭ লাখ টন পেঁয়াজ, ১৫ লাখ টন চিনি, ১.২৫ লাখ টন আদা, ৩০ হাজার টন মসুর ডাল ও ১০ হাজার টন রসুনের কোটা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার এসব পণ্যের চাহিদা কিছুটা কমিয়ে নতুন প্রস্তাব করা হচ্ছে।