দেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনারা অধিকার নিয়ে এই দেশে বসবাস করবেন। জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তাই সবাই স্বাধীনতার অধিকার এবং সুফল সমানভাবে ব্যবহার করবে ও উপভোগ করবে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন উপলক্ষে গতকাল বুধবার খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নিজ কার্যালয়ে চামেলি হল থেকে খামারবাড়ির কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হিসাবেই প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছি। এখানে সকলের সমান অধিকার আছে। সংবিধানেই অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কল্যাণের কথা আছে। তৃতীয় লিঙ্গদের (হিজড়া) সংবিধানেই স্থান দিয়েছি। ইসলামেও আছে, কোনো হিজড়া যদি মেয়ে সাজে থাকে বা ছেলে সেজে থাকে তাহলে সেই পিতামাতা তার সম্পদের সমান অধিকার পাবে। ছেলে-মেয়ের মতো হিজড়া সন্তান হলেও সমান অধিকার পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাও (খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী) অধিকার নিয়ে এদেশে বসবাস করবেন। জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। তাই স্বাধীনতার অধিকার এবং সুফল সকল মানুষ সমানভাবে ব্যবহার করবে এবং উপভোগ করবে। তিনি আরো বলেন, যিশু খ্রিস্টের শিক্ষা মানবধর্ম, শান্তি সত্যের পথ। এই পথ নিয়ে সবাই চলুক। সকল ধর্ম একই শিক্ষা দেয়। সেটাই সকলকে মানতে হবে যে, সকলে সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে।
এ সময় বড় দিন উপলক্ষে ২০২৩ সালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতাদের গণভবনে দাওয়াত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আগামীতে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।