নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নির্যাতিত হয়ে খোদেজা বেগম (৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও এজাহার দায়েরের ৩ দিনেও মামলা রেকর্ড করেনি বাগাতিপাড়া মডেল থানা পুলিশ। সন্ত্রাসীর হামলায় মাথা, ঠোঁট ও ডান হাতে গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাতরাচ্ছেন তিনি। ৮ ডিসেম্বর দুপুরে বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন ভুক্তভোগী স্বামী আশরাফুল আলম। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা দিনের পর দিন থানায় ধর্ণা দিলেও কোনো আইনি সহায়তা পায়নি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহকারী সার্জন ডা. রেজাউল করিম জানান, তার চিকিৎসা চলছে। মাথার আঘাত গুরুত্বর হওয়ায় সিটি স্ক্যানের পরামর্শ দিয়েছি। তিনি ঠোঁট ও ডান হাতে আঘাত পেয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার চকগোয়াশ (গালিমপুর মসজিদ মোড়) এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তরা হলেন মৃত আজাদ আলীর ছেলে আলম হোসেন ও স্ত্রী আলেয়া বেওয়া। আগে থেকে রাখা ইট ও খড়ি সড়ানোকে কেন্দ্র করে। ঘটনার দিন সকালে হটাৎ তারা চড়াও হয়। কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আলম বাঁশের লাঠি নিয়ে আশরাফুলকে মারতে তার দোকানে চলে আসলে তিনি দোকানের ভেতরে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। পরে আশরাফুলের বৃদ্ধ ও বধির পিতা সোহরাব হোসেনকে ওই লাঠি দিয়ে মারার জন্য উদ্বত হলে শ্বশুরকে রক্ষা করতে গেলে ভুক্তভোগী খোদেজার মাথায় আঘাত লাগলে সে কার্পেটিং রাস্তার ওপর পড়ে গেলে আলম ও আলেয়া তার তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে বেহুশ করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
এজাহারটি এখন পর্যন্ত রেকর্ড না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযোগকারী আশরাফুল আলম জানান, আমাদের মতো মানুষের আশ্রয়স্থল পুলিশ, কিন্তু পুলিশই যদি এভাবে অবজ্ঞা করে তাহলে আমরা যাবো কোথায়? পুলিশের এ ধরনের আচরণে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে বলেও দাবী করেন তিনি।
এজাহার দায়েরের ৩ দিনেও মামলা রেকর্ড হয়নি এমন প্রশ্নে, বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে। আপোষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত আলম একজন মানসিক রোগী বলে দাবী করেন তিনি। মানসিক রোগীর কোন সনদ আছে কি-না? জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম অতি গুরুত্বসহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে নিশ্চিত করেন।