নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলায় আজ বৃহস্পতিবার ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সিপিটিইউ পরিচালক মোঃ আজিজ তাহের। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, পণ্য কার্য ও সেবা ক্রয়ের জন্যে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে চালু হওয়া ই-জিপি’র মাধ্যমে দেশে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৩৬ হাজারের অধিক দরপত্র আহ্বান ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সরকারি ক্রয়ের ৬৫ শতাংশ ই-জিপি’র মাধ্যমে সমাধা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে লক্ষাধিক দরপত্রদাতা সংযুক্ত হয়েছেন। দেশের এক হাজার ৪২০টি সরকারি দপ্তর ই-জিপি কার্যক্রমে নিবন্ধিত হয়েছে। প্রচলিত দরপত্র প্রক্রিয়াকরণের সময় ১০০ দিনের স্থলে ৫৫ দিনে কমে এসেছে। এ পর্যন্ত ই-জিপি নিবন্ধন ও নবায়ন ফি এবং দরপত্র দলির ফি বাবদ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে রাস্ট্রীয় কোষাগারে।
স্বচ্ছতার পাশাপাশি সহজ দ্রুত ও নিশ্চিত সেবা নিশ্চিত করতে ই-জিপি বিষয়ে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭১৩ জনের অধিক ই-জিপি ব্যবহারকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ই-জিপি কার্যক্রমের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রাখাসহ সিস্টেম ও সাইবার সিকিউরিটির উন্নয়নসহ প্রাতিষ্ঠানিক অর্গানোগ্রাম উন্নয়নের কাজও চলমান আছে বলে কর্মশালায় বলা হয়।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) এর উপ পরিচালক মেহের আফরোজ কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বিসিসিপি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মদ আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় সরকারি দপ্তরসমূহের দপ্তর প্রধান, ব্যাংক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রক্রিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট এই কর্মশালার আয়োজন করে।