নিউজ ডেস্ক:
নগরবাসীর মধ্যে সম্পর্র্ক সুদৃঢ় করতে পাড়া উৎসবের আয়োজন করেছে গুলশান সোসাইটি। রাজধানীর অভিজাত এলাকাখ্যাত গুলশানের কয়েকটি সড়কে গ্রামীণ সংস্কৃতির সব আয়োজনের পসরা নিয়ে সাজানো হয় এই উৎসব। গতকাল শুক্রবার প্রধান অতিথি হিসেবে পাড়া উৎসবের উদ্বোধন
করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। গুলশানের বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘শহরে প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে এবং সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পাড়া উৎসব প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা পাড়া উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই পুরো ঢাকা শহরে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের সব এলাকায় পাড়া উৎসবের আয়োজন করা হবে।’
ডিএনসিসির সহযোগিতায় দ্বিতীয়বার এই পাড়া উৎসবের আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিরোস ফর অল। এদিন সকাল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসবে ছিল দেশীয় পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এ ছাড়া আরও ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রংতুলি, ক্যারাম বোর্ড, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। সকাল থেকে উৎসব চলে একটানা রাত ৮টা পর্যন্ত। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী, ডিএনসিসি মেয়র ও কূটনীতিরা বিভিন্ন প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন ও বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন এবং গান গেয়ে নগরবাসীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের নারী এমপি নাহিদ ইজাহার খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এসএম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান প্রমুখ।