শনিবার , নভেম্বর ১৬ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউব উদ্বোধন আজ

বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউব উদ্বোধন আজ

নিউজ ডেস্ক:
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সব কাজ শেষ করে টানেল প্রস্তুত হতে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সব ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে টানেল দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে।

টানেল প্রকল্প পরিচালক দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে প্রথম এই টানেল নির্মিত হচ্ছে চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায়। ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই মেগা প্রকল্পটি। এখন চলছে টানেলের ভেতরে ফায়ার ফাইটিং, লাইটিং ও কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনার কাজ। পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে প্রকল্পের গাড়ি। নদীর তলদেশে টানেল নির্মিত হওয়ায় যে কোনো সময় পানি জমতে পারে এই আশঙ্কায় টানেলের মধ্যে বসানো হচ্ছে ৫২টি সেচ পাম্প। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

নদীর তলদেশে স্থাপিত দুটি টিউবের একটিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে বিকল্প পথে গাড়ি চালানো যায়, বর্তমানে তারও কাজ চলছে। বাতি ও পাম্প স্থাপন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরির কাজও একই সঙ্গে চলছে। নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, ৭৭২ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভার। এখন চলছে কর্ণফুলীর দক্ষিণ প্রান্তে আনোয়ারা অংশে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও জানায়, টানেল চালু হলে চট্টগ্রামে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ওয়ান সিটি টু টাউন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অর্জন করবে। টানেলকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগরী এবং পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। ইতিমধ্যে আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তে সংযোগ সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে ছোট-বড় অসংখ্য শিল্প-কারখানা। টানেলকে ঘিরে পর্যটন, শিল্পায়নসহ অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদী তলদেশ দিয়ে অতিক্রম করতে  সময় লাগবে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মিনিট।

টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চীন সরকার। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদের হারে ২০ বছর মেয়াদে এ ঋণ দিয়েছে। চীনের কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। তবে ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে প্রকল্পের ব্যয় আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সূত্রগুলো আভাস দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। তবে সংযোগ সড়কসহ টানেলের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। নদীর নিচে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮০ মিটার ব্যাসের দুটি টিউব। এর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলে টিউব দুটি থাকলেও সংযোগ পথ আছে তিনটি। এর মধ্যে একটি বিকল্প পথ হিসেবে প্রথম দুটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। চট্টগ্রামে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে টানেলটি নদীর তলদেশ হয়ে চলে গেছে আনোয়ারার চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থানে।

আরও দেখুন

নাটোরে নবাগত ইউএনও’র খাল পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক সিংড়া,,,,,,,,নাটোরের সিংড়ায় খাল পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিয়েছেন সদ্যযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম। শনিবারসকাল …