নিজস্ব প্রতিবেদক, লালপুর:
বয়সের ভারে নতুজানু ছকিনা (৭০) আবেগে আল্পুত হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে দৈনিক কালবেলাকে জানান আমি জীবীত থাকতেই দুনিয়ায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের মুখে মুখে। আমার নামে বয়স্ক ভাতা চালু ছিলো কিন্তু কয়েক মাস যাবৎ মোবাইলে টাকা না আসায় আমার নাতি শিমুল লালপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে গেলে জানতে পারি যে, আমি মারা যাওয়ার কারণে আমার ভাতা কর্তন করে অন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে। আমি একজন অসহায় হতদরিদ্র মানুষ, আমার পাশে দাড়ানোর মত কেহ নাই। স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে স্বামীকে হারিয়েছি।
বর্তমানে আমি অন্যের দয়ার উপর নির্ভর করে বেচে আছি। কিন্তু চেয়ারম্যান আমার বাড়ির পাশের মানুষ হয়ে কিভাবে আমাকে মৃত ঘোষনা পূর্বক মৃত্যু সনদ প্রদান করে আমার ভাতা বন্ধ করলো। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে লালপুর উপজেলার ২নং ঈশ্বরদী ইউনিয়নে। উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জুর স্বাক্ষরিত মৃত্যুর সনদে নূরুল্লাপুর গ্রামের ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছাত্তার সরদারের স্ত্রী ছখিনা বেগম বার্ধক্য জনিত কারণে ৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে মৃত্যু দেখিয়ে বয়স্কভাতা বন্ধের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে মৃত্যুর সনদ জমা দিয়েছে।
লালপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিস সূত্রে জানাযায় ওই বিধবা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির আওতায় বয়স্কভাতা সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। চেয়ারম্যান মৃত্যুর সনদ দেওয়ার কারণে তার বয়স্কভাতা সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সুবিধাবঞ্চিত ছখিনা বেগম বলেন, বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইলে না আসলে আমার নাতি শিমুল সমাজ সেবা অফিসে খবর নিতে গেলে জানতে পাই যে আমি মরে গেছি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মোত্তালেব সরকার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জš§ ও মৃত্যুর সনদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রদান করেন। সুতরাং মৃত্যু সনদের বিষয়টি তারা বলেতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, ঘটনাটি জেনে খুবই মর্মাহত হয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও দেখুন
বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল সহায়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক বাগাতিপাড়া,,,,,,,,,,,,,নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে …