নিউজ ডেস্ক : অভ্যন্তরীণ কোন্দল, মতের দ্বন্দ্বসহ বিবিধ ইস্যুতে কেন্দ্র থেকে বিভক্ত তৃণমূল বিএনপি। ফলে কেন্দ্রের মতো তৃণমূলেও বিভাজন স্পষ্ট হয়ে দেখা দিয়েছে। আর তার প্রভাব পড়ছে কর্মীদের উপরে। জনপ্রিয়তার তলানিতে পৌঁছানো বিএনপির সেই বেহাল দশা লক্ষ্য করা গেছে ঝিনাইদহে।
জানা গেছে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির দুই প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক ও শাহজাহান মোহন।
তবে সরকারের ওপরে দোষ চাপাতে তারা কেন্দ্রের নির্দেশে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে বলে জানা গেছে। উভয় প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশ না থাকা, বাইরের উপজেলা থেকে সন্ত্রাসী এনে স্থানীয় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ না করতে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা। যেসব অভিযোগ বিএনপির পুরনো অভ্যাস বলে রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত।
যদিও উপস্থিত ভোটারদের সাথে কথা বলে বিএনপির অভিযোগের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তারা বলছেন, যথাসময়ে ভোট শুরু হয়ে নির্বাচন শেষ হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।
এ বিষয়ে একজন ভোটার বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া, পাড়ায় পাড়ায় ত্রাস সৃষ্ট করা, রাস্তা থেকে ভোটারদের ফেরত পাঠানো, কেন্দ্রে ধানের শীষের পক্ষের পোলিং এজেন্ট না থাকাসহ যেসব অভিযোগ বিএনপি করছে তা অমূলক। আমরা কোনো দলের হয়ে কথা বলছি না। যা সত্য তাই বলছি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। নির্বাচনে উপজেলা দুটিতে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।