নিউজ ডেস্ক:
আমনের সেচে সুবিধার জন্য গ্রামে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা হলো- আমন চাষে পানির ব্যাপক অভাব। গত জুলাই মাসে যে বৃষ্টি হয়েছে, সেটা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম। সারা পৃথিবীতেই খরা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশেও তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মন্ত্রিসভা একটা ডিরেক্টিভ দিয়ে দিয়েছেন। বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন এবং কৃষিমন্ত্রী ও অন্য সবাই একটা সাজেশন দিয়েছেন- আগামী ১০-১৫ দিন যাতে গ্রাম এলাকায় মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত নিশ্চিত করা যায়। যাতে সেচের কোন ব্যাঘাত না ঘটে। যেহেতু ওই সময়টা পিক আওয়ার।
আগে পিক আওয়ার ছিল ১১টা পর্যন্ত। এখন পিক আওয়ার চলে যাচ্ছে ১২টা, সাড়ে ১২টা, ১টা পর্যন্ত। যেহেতু দিনেরবেলা সেচ দিতে পারে না। সেজন্য বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সেচ নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে ততটুকু সম্ভব বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গ্রিসে বৈধতা পাবেন বাংলাদেশীরা, বছরে যেতে পারবেন ৪-৫ হাজার শ্রমিক ॥ গ্রিসে যে ১৪-১৫ হাজার বাংলাদেশী অবৈধ বা আন-অথরাইজড ভিসায় রয়েছেন তারা বৈধতা পাবেন। সেই সঙ্গে বছরে নতুন করে চার-পাঁচ হাজার শ্রমিক গ্রিসে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও হেলেনিক রিপাবলিকের (গ্রিস) মধ্যে মাইগ্রেশন এ্যান্ড মোবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও হেলেনিক রিপাবলিকের মধ্যে মাইগ্রেশন এ্যান্ড মোবিলিটি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। এটা একটা গুড নিউজ। এই সমঝোতা স্মারকের প্রেক্ষিতে বছরে চার-পাঁচ হাজার বাংলাদেশী কৃষিক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিক বা দক্ষ ব্যক্তিরা যেতে পারবেন। তারা পাঁচ বছরের জন্য একটা ওয়ার্ক পারমিট পাবেন।
তারপর পারফরমেন্স বা নিয়মানুযায়ী সেটা বৃদ্ধি করা হবে; যদি সেটা করা হয় তাহলে আরও থাকতে পারবে। তিনি আরও বলেন, যতদিন এই সমঝোতা থাকবে ততদিন বছরে চার-পাঁচ হাজার বাংলাদেশী গ্রিসে অফিসিয়ালি যেতে পারবেন। আর এর মধ্যেও যে ১৪-১৫ হাজার যারা আন-অথরাইজড ভিসায় রয়ে গেছেন, তারাও এর মাধ্যমে ওইখানে বৈধতা পাবেন।
মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’ হচ্ছে ॥ মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে দুটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা আইন দুটি ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেন, শুধু ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়’ নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামকরণ করা হয়েছে। বাকি সব একই আছে।