নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে রাজনীতির চেয়ে লাভজনক ব্যবসা আর নেই। এখানে খালি হাতে এসে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। রাজনীতির সাথে দুর্নীতির সম্পর্ক স্পষ্ট করে নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
এদিকে, দুর্নীতি প্রসঙ্গে যখন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আদালতের রায়ে দণ্ডিত, তখন দুর্নীতি প্রসঙ্গে রুমিন ফারাহানার এমন মন্তব্যে বিএনপিকে নতুন করে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে জনসম্মুখে তুলে ধরবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দুর্নীতি প্রসঙ্গে লোক দেখানো প্রতিক্রিয়া বিএনপির আরো দুর্নাম বাড়াবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
বিএনপির অতীত দুর্নীতি ঢাকতে দলটির নেতাদের লাজ-শরম ভুলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কথা বলছেন তা দলটির ইমেজ নতুন করে নষ্ট করবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক এ আরাফাত। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয় বিএনপির অপশাসনামলে। দুর্নীতিকে বাণিজ্যের রূপ দিয়েছেন দলটির পলাতক নেতা তারেক রহমান। রাষ্ট্রের প্রতিটি পর্যায়ে দুর্নীতির বিষ ছড়িয়েছিল বিএনপি সরকার। যার অভিশাপ আজো আমাদের বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তবে বর্তমান সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সকল ধরণের অনিয়মের ঘটনা অনেক কমে এসেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। অথচ বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতির কারণে দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকা বিদেশি পাচারে করেছেন বিএনপির নেতারা। দুর্নীতির টাকায় তারেক রহমান বিদেশে রাজকীয়ভাবে জীবন যাপন করেন। বিএনপি অর্ধেকের বেশি সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা রয়েছে। রাজনীতিকে ব্যবসা বানিয়েছিল বিএনপি। শূন্য হাতে রাজনীতি করতে এসে কোটিপতি হয়েছেন বিএনপি বহু ছিঁচকে নেতা। বিএনপি আসলে দুর্নীতিবাজদের আড্ডাখানা।
বিএনপির দুর্নীতি বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুটা বিব্রতবোধ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতিতে কিছুটা ভুল-ভাল হতেই পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার রাজনীতিরই অংশ মনে হয়। আসলে ক্ষমতায় থাকলে জোশের কারণে এসব ভুল করেন নেতা-কর্মীরা। দুর্নীতির কারণে বিএনপির আজ যে দুর্দশা, সেটি অবশ্য আমি মানতে নারাজ। তবে অতীতে যাই ভুল হোক, আমরা ভবিষ্যতে সেটির পুনরাবৃত্তি করবো না। রাজনীতিতে ভুলের কোনো স্থান নেই।