নিউজ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানির (এপিএসসিএল) নবনির্মিত ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (ইস্ট) থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত সোমবার সকাল থেকে এই ইউনিটটি সিম্পল সাইকেলে (আংশিক শক্তি) পরীক্ষামূলক উৎপাদনে চেষ্টা শুরু করে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউনিটটি (সিম্পল সাইকেলে নির্ধারিত) ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে নতুন এই ইউনিটটি থেকে জাতীয় গ্রিডে আরও ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হতে যাচ্ছে।
আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে ইউনিটটি কম্বাইন্ড সাইকেলে (পূর্ণ শক্তিতে) চালু হলে ৪০০ থেকে ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। এদিকে এই ইউনিটটি চালু হওয়ায় আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি জাতীয় গ্রিডে দৈনিক সরবরাহ করছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আশুগঞ্জকে ‘পাওয়ার হাব’ ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে এপিএসসিএল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল (নর্থ ও সাউথ) প্ল্যান্ট ২টি, ২২৫ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ২০০ মেগাওয়াটের মডিউলার প্ল্যান্ট ইউনিট চালু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অধিক পুরোনো ২টি কম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ইউনিট অপসারণ করে সমপরিমাণ জ্বালানি (গ্যাস) ব্যবহার করে ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল (ইস্ট) প্ল্যান্ট নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ।
সার্বিক বিষয়ে এপিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘নতুন ইউনিটটিতে বর্তমানে তিন শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ ইউনিট কম্বাইন্ড সাইকেলে (পুরোদমে) চালু করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি পুরোনো দুটি ইউনিট বন্ধ করা হলে অনেক জ্বালানি সাশ্রয় হবে। ইউনিটটি পুরোপুরি চালু হলে আশুগঞ্জ থেকে দৈনিক ১ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে।