নিউজ ডেস্ক:
পদ্মা সেতু চালুর পর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে যে কর্মচাঞ্চল্য ও গতির সৃষ্টি হবে, তা অব্যাহত রাখতে সরকার মাস্টারপ্ল্যান করছে। ওই মাস্টারপ্ল্যানে সমুদ্র ও স্থল বন্দর ছাড়াও আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১-এর আওতায় এরই মধ্যে কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠক থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন ওই কমিটি ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণের পাশাপাশি এর সঙ্গে যুক্ত অবকাঠামোগুলোর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালুর পর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে শুধু তাই নয়, বেনাপোল বন্দর থেকে আমদানি করা পণ্য ঢাকায় আনতে যে সময় লাগে, সেতু চালুর পর তা অনেকাংশে কমে আসবে। একইভাবে ঢাকা থেকে রপ্তানি পণ্যও দ্রুত পরিবহন করা যাবে। পণ্য পরিবহনে গতি আসায় দুই দেশের সীমান্ত স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রমেও গতি আসবে। এ কারণে বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরে যে অবকাঠামো সুবিধা বিদ্যমান তা আরও উন্নত করতে হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত থাকলেও এ সেতু ঘিরে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সঙ্গে সরকারের আরও অনেক মন্ত্রণালয় এবং অধীন সংস্থা জড়িত। সে কারণে এ পরিকল্পনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য, অর্থ, নৌ ও রেল মন্ত্রণালয় এবং এসব মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, বিডা, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে গতি আসবে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্য অবকাঠামোগুলোর উন্নয়ন জরুরি।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আনতে চাইলে সবার আগে দেশের বহির্বাণিজ্যের প্রধান গেটওয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বন্দর উন্নয়নের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন জড়িত। দেশের অর্থনীতি যত বড় হচ্ছে, বন্দরের ওপর চাপ তত বাড়ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব বে-টার্মিনাল, ধীরাশ্রম আইসিডিসহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার।’