নিউজ ডেস্ক:
পুঁজিবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে বক্তারা বলেছেন, আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা নেই। অথচ আর্থিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে নারীদের আর্থিক স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার হতে পারে তাদের বিনিয়োগের বড় মাধ্যম।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুন) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মালটিপারপাস হলে সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম)। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। এছাড়া নারীরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও এগিয়ে আসছে। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী হিসেবে তাদের অংশগ্রহণ কম। নারীরা যাতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ভূমিকা রাখতে পারে, সেজন্য কমিশন সব ধরনের সহায়তা দেবে।
বিআইসিএমের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম, মর্ডান সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুজেস্তা নূর-এ- নাহারীন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক কাশফিয়া শারমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালেদা জেসমিন মিথিলা।
অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার নারী বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিআইসিএম তাদের বিনিয়োগ শিক্ষার সুযোগ করে দেবে। খুজেস্তা নূর-এ-নাহারীন বলেন, বিনিয়োগের যোগ্যতা এখনো নারীরা অর্জন করতে পারে নাই। এজন্য নারীকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাকে শিখতে হবে। এছাড়া নারীদের পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণের বিষয়ে প্রচার বাড়াতে হবে।
নারীদের পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিআইসিএমের সহকারী অধ্যাপক কাশফিয়া শারমিন মূল প্রবন্ধে বলেন, আমাদের সমাজে নারীরা অবহেলিত। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের আর্থিক স্বাধীনতা নেই। আর্থিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে নারীদের পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেখানেও মাত্র এক-তৃতীয়াংশ নারী বিনিয়োগকারী। কাশফিয়া শারমিন বলেন, বিনিয়োগের আগে শিখতে হবে। তারপর মার্কেটে আসতে হবে। কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জেনে বিশ্লেষণ করে তারপর বিনিয়োগ করুন। সফলতা পাবেন।
অনুষ্ঠানে নারী বিনিয়োগকারী ইসমত জেরিন খান বলেন, হ্যাজবেন্ডের কাছ থেকে প্রতি মাসে যে হাতখরচ পান নারীরা, সেটাই কিন্তু একজন নারী বিনিয়োগ করতে পারেন। বিনিয়োগকারী সানজিদা পারভীন বলেন, যারা গৃহিণী, তারাও কিন্তু অল্প অল্প করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। দেখবেন একসময় সেটাই বড় হবে।