নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা ও নিউ ইয়র্কের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপে গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের অর্থনৈতিক আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এ আহ্বান জানানো হয়। পুনরায় ফ্লাইট চালুর জন্য একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ আলোচনায় পারস্পরিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশাবাদ পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও অ্যাম্বাসেডর কেলি কেইডারলিং, অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টোফার উইলসন, শ্রম বিভাগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং জানিয়েছে, আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে দুই দেশের ব্যবসায়ী ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের অগ্রাধিকার প্রবেশ, পণ্য উত্পাদন এবং টেকনোলজি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে অধিকতর বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) অর্থায়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য একক অর্থনৈতিক অঞ্চল স্হাপনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের বিপুল ফ্রি-ল্যান্সারদের সুবিধা গ্রহণ করে হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক কোম্পানিগুলোকে উত্সাহিত করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও বিনিয়োগবান্ধব নীতির ধারাবাহিকতাকে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডব্লিউ ফার্নান্দেজ বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কোভিড-১৯ টিকাদানে চমকপ্রদ সাফল্যের প্রশংসা করেন।
এএফএল-সিআইও গ্লোবাল ওয়ার্কার্স রাইটস কো-অর্ডিনেটর লরা গুতিরেজ, সলিডারিটি সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক শনা বাদের-ব্লাউ এবং বাংলাদেশের শ্রমিক প্রতিনিধি কাজী রহিমা আক্তার আলোচনার এই পর্বে উপস্হিত ছিলেন।