নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগাতিপাড়া:
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাটোরের বাগাতিপাড়ার চার ব্যক্তির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারেগুলো হয়ে পড়েছে দিশেহারা। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামারচর এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ট্রাক-লেগুনা মুখোমুখি সংঘর্ষে তারা নিহত হন।
নিহতদের চার জনের বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায়। এদের মধ্যে দুই জন পঁাঁকা ইউনিয়নের ছোটপাঁকা গ্রামের। একই উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা অপর দুই জন। একই দূর্ঘটনায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের জুমাইনগর গ্রামের বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ছোটপাকা ও ব্াঁশবাড়িয়া গ্রামের দুই জন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের পরিবারেও চলছে উৎকণ্ঠা।
নিহতদের মধ্যে বাগাতিপাড়া উপজেলার চার জনই শ্রমিক। তারা ধান কাটার কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
বাগাতিপাড়া উপজেলার পাকা ইউপি চেয়ারম্যান নয়েজ উদ্দীন জানান, খবর পাওয়ার পর থেকেই নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তিনি নিহতদের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গত ১৫ দিন আগে নিহতরা অন্যদের সঙ্গে ধান কাটার কাজ করতে টাঙ্গাইল যান। তাদের মধ্যে ছোটপাকা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মকুল হোসেন (৩৫), এবং আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (৩৪) মারা যান বাড়ি ফেরার পথে। আর আহত হন একই গ্রামের লাবুর ছেলে মঞ্জু। তাকে রামেকে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও জানান, নিহত মকুলের ১৪ ও ৮ বছর বয়সী দুই মেয়ে এবং ৩ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। নিহত মনিরের ১৪ বছর বয়সী এক মেয়ে ছাড়াও ৮ বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে ছোট ছোট ওই সন্তানদের নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছে নিহতদের পরিবার। অপরদিকে, আহত মঞ্জুর ৪ ও ৬ বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে। তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী দুর্ঘটনার খবর শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী জানান, ওই দুর্ঘটনায় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে মকবুল হোসেন (৩৫) এবং ইজাল হকের ছেলে আব্দুল হালিম নিহত হন। একই গ্রামের আনসারের ছেলে আলমগীর আহত হয়েছেন। তাকে রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই শ্রমিক। তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। জামনগর ইউপি মেম্বর আইয়ুব আলী জানান,তিনি মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। নিহত মকবুলের ১১ বছর বয়সী মেয়ে ছাড়াও ৮ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। নিহত আব্দুল হালিমের ৮ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ৫-৬ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। অপরদিকে আহত আলমগীরের ১৮ ও ৪ বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রামারচর এলাকায় রাত ২টার দিকে ঢাকাগামী একটি ট্রাক ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই চার জন নিহত হন। এ সময় আহত হন আরও কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোরের দিকে তাদের মধ্যে হাটিকুমরুল সাখাওয়াত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক ব্যক্তি মারা যান। নিহত ওই পাঁচ জনের বাড়ি নাটোরে।
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …