রবি থেকে রবীন্দ্রনাথ
বৈশাখ হলো ২৫শে খ্যাত,
এই বিশ্বের দরবারে,
জোড়াসাঁকো আলো করে,
যখন রবি এলো ঘরে।
স্নেহের পরশে বাড়লো রবি,
নিবিড় আবৃত শৃঙ্খলে,
কিন্তু চাইলো না মন থাকতে তাঁর,
ঐ রাঙা ঠাকুরমহলে।
পেলো ছুটি যেদিন রবি,
বদ্ধ জগত হতে,
স্নিগ্ধ রবি দীপ্ত হয়ে,
তখন বিশ্বকবির পথে।
ছুটল কলম ভরল পাতা,
হাজারো কাব্য সাহিত্যে,
শুরু হল এক নব অধ্যায়,
এ বঙ্গ সংস্কৃতিতে।
রবির কলম উঠলো গর্জে,
ঐ বঙ্গভঙ্গের পানে, নিভল আঁধার ,
ঘুচল ঈর্ষা, রবির সম্প্রীতির রাখি বন্ধনে।
রবির কবিতা,
গানে, উপন্যাসে,
যখন সমৃদ্ধ হলো ভুবন,
গীতাঞ্জলি আনল নোবেল,
বিশ্বে হরষে মাতল পবন।
ব্রিটিশ রাজে পুড়ছে বঙ্গ,
ভারতে ভাসছে প্রতিচ্ছবি,
স্বদেশ প্রেমে মগ্ন হয়ে,
বিদ্রোহী সুর বাঁধেন রবি।
রক্তে রাঙা জালিয়ানওয়ালাবাগ,
যখন ঘটালো দেশের আধি,
প্রতিবাদে বিশ্বকবি,
ফেরালেন তাঁর নাইট উপাধি।
অশ্রুপাতে ভিজল ধরা,
এলো যেদিন বাইশে শ্রাবণ,
অস্তাচলের পরপারে,
নিভল রবির দীপ্ত জীবন।
মোরা তোমাতে বাঁচি,
তোমাতে মরি,
ওগো প্রণমি তোমারে নাথ,
জগৎজোরা খ্যাতির উর্ধে,
তুমি মোদের রবীন্দ্রনাথ।
কবি সৌভিক দে রায়, কলকাতা