নীড় পাতা / জাতীয় / অস্ত্রাগার হচ্ছে ৪০ জেলায়

অস্ত্রাগার হচ্ছে ৪০ জেলায়

নিউজ ডেস্ক:
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের আট বিভাগের চল্লিশ জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে এসব অস্ত্র গুদাম। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র সংরক্ষণে এসব গুদাম নির্মাণ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব গুদাম নির্মাণে সরকারের নেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৩০ জুন মেয়াদের মধ্যে শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ৮ বিভাগের ৪০টি জেলায় এসব অস্ত্রাগার নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য এসব অস্ত্রাগার নির্মাণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ৩৯ হাজার ৭৮৮ ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করে সেখানে ১১ হাজার ৪১৪ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে। যা অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এর বাইরেও দেশের ৪০ জেলায় সিকিউরিটি পোস্ট ভবন, ড্রেন, এপ্রোন, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। অস্ত্রাগারে বহিস্থ পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। যানবাহন কেনাসহ অস্ত্রাগার এলাকায় বনায়নসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, সরকারের নেওয়া ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে কোনও জাতীয় জরুরি অবস্থায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে কার্যকরভাবে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে, যার সঙ্গে এই প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ।

একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের আগে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জেলা সদরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার নির্মাণের মাধ্যমে বাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি জেলায় অস্ত্রসহ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তাদের অস্ত্র নিরাপদে রাখার সুব্যবস্থা নাই। অনেক সময় অস্ত্র খোয়া যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এসব অস্ত্রাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে জেলা সদরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র-গোলাবারুদ সুরক্ষিত থাকবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত অস্ত্র-গোলাবারুদ সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

আরও দেখুন

প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে তরুনীকে ধর্ষণ,থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের নলডাঙ্গায় বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করেছে রুবেল নামের প্রেমিক ও তার দুই …